বিবৃতি প্রত্যাখ্যান, তিতুমীর শিক্ষার্থীদের অনশন ‘চলবে’

বিবৃতি প্রত্যাখ্যান, তিতুমীর শিক্ষার্থীদের অনশন ‘চলবে’

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা গত কয়েকদিন ধরে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে সড়কে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সড়ক অবরোধের ফলে জনসাধারণকে উল্লেখযোগ্য ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় কলেজের শিক্ষার্থী আলী আহমদ এ ঘোষণা দেন।

আলী আহমদ জানান, বিশ্ব ইজতেমার কারণে সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলন শিথিল থাকবে।

এদিকে, স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়েছেন, যার ফলে সাধারণ জনগণকে চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

শনিবার এক বিবৃতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ঢাকার সাতটি কলেজ নিয়ে পৃথক একটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের কাজ চলমান রয়েছে এবং তিতুমীর কলেজের বিষয়টিও বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধ

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটি তিতুমীর কলেজসহ সাতটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁদের বিভিন্ন সমস্যা ও দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। সরকার বর্তমানে এসব কলেজের শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা ও মানোন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং সম্ভাব্য সকল বিকল্পই বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।

এ অবস্থায়, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন করা যৌক্তিক নয় বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা কেন অনশন করছে?

শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলন করছে। তারা মনে করছে, পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে এবং প্রশাসনিক জটিলতা দূর হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে কী বলা হয়েছে?

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, ঢাকার সাত কলেজ নিয়ে পৃথক একটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পরিকল্পনা চলছে এবং তিতুমীর কলেজের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে।

শিক্ষার্থীরা কেন এই বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে?

শিক্ষার্থীদের মতে, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে তাদের দাবির বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি। তারা দ্রুততম সময়ে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের নিশ্চয়তা চায়।

শিক্ষার্থীদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী?

শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে, বিশ্ব ইজতেমার কারণে আন্দোলন প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে।

সরকারের সম্ভাব্য পদক্ষেপ কী হতে পারে?

সরকার জানিয়েছে যে, সাত কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের বিভিন্ন বিকল্প তারা বিবেচনা করছে। শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

উপসংহার

সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে চলমান আন্দোলন এবং আমরণ অনশন শিক্ষা ব্যবস্থা ও প্রশাসনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা তা যথেষ্ট মনে না করে অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে সাত কলেজের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পরিকল্পনা এবং তিতুমীর কলেজের বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় রাখার কথা বলা হলেও, স্পষ্ট সময়সীমা না থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। এ অবস্থায়, একটি কার্যকর ও গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছানোর জন্য শিক্ষার্থী ও সরকারের মধ্যে গঠনমূলক সংলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আলোচনার মাধ্যমে উভয় পক্ষ একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পারলেই জনদুর্ভোগ কমবে এবং শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top