সরকারি ব্রজমোহন কলেজ ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় চার শিক্ষার্থী উদ্ভট আচরণ করায় স্থানীয়রা বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানান। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে এবং পরবর্তীতে কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করে।

বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের চার শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে সেনাবাহিনী। বুধবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে তাদের আটক করা হয়।
জানা যায়, সরকারি বিএম কলেজ ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় চার শিক্ষার্থী উদ্ভট আচরণ করছিলেন। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দারা সেনাবাহিনীকে জানান। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের আটক করে এবং কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করে।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানায় উপস্থিত হন ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, আটক হওয়া চারজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটিতে স্থান পেয়েছিলেন বলে শুনেছেন। তবে ওই কমিটি ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে।
তারা আরও জানান, কলেজ ক্যাম্পাসের পাশের শেরে বাংলা স্কুল নিয়ে কিছু ঝামেলা চলছিল। সেই ঘটনার জেরে তাদের আটক করা হতে পারে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, “ব্রজমোহন কলেজের চার শিক্ষার্থীকে উদ্ভট আচরণের কারণে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছিল সেনাবাহিনী। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
কেন বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের আটক করা হয়েছিল?
বিএম কলেজ ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় চার শিক্ষার্থী উদ্ভট আচরণ করছিলেন, যা স্থানীয়দের নজরে আসে। পরে তারা বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানান।
শিক্ষার্থীদের কোথা থেকে আটক করা হয়?
বিএম কলেজ ক্যাম্পাস এবং তার আশপাশের এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের আটক করা হয়।
তাদের কার কাছে সোপর্দ করা হয়েছে?
আটককৃত চার শিক্ষার্থীকে সেনাবাহিনী কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করেছে।
স্থানীয়রা কেন সেনাবাহিনীকে জানায়?
উদ্ভট আচরণের কারণে শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম সন্দেহজনক মনে হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা সেনাবাহিনীকে বিষয়টি জানান।
পুলিশের পক্ষ থেকে কী জানানো হয়েছে?
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী উদ্ভট আচরণের কারণে শিক্ষার্থীদের আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
উপসংহার
বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের চার শিক্ষার্থী উদ্ভট আচরণের জন্য আটক হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয়। আটককৃতদের সঠিক পরিস্থিতি যাচাইয়ের জন্য পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি, তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য হলেও, সাম্প্রতিক সময়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ঝামেলা বা সমস্যার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আচরণ এবং পরিস্থিতি নিয়ে আরও স্পষ্টতা আনা প্রয়োজন, যা স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে পরিষ্কার করা হবে।