স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন, রেবেকা নজরুল চক্রের অপসারণসহ আরও কয়েকটি দাবিতে রাজধানীর প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কার্যালয় ঘেরাও করেছেন।

“ঘেরাও” শব্দটি একটি প্রতিবাদ বা আন্দোলনের ধরন বোঝায় যেখানে একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, বা কার্যালয়কে ঘিরে ফেলা হয়। এর লক্ষ্য হলো দাবি পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। সাধারণত ঘেরাও কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালিত হয় এবং এতে অংশগ্রহণকারীরা তাদের দাবি বা অসন্তোষ প্রকাশ করে।
বাংলাদেশে ঘেরাও একটি প্রচলিত প্রতিবাদের পদ্ধতি, যা শ্রমিক, শিক্ষার্থী, বা বিভিন্ন পেশাজীবী গোষ্ঠী প্রায়শই ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে বা প্রশাসনের কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে ঘেরাও কর্মসূচি নিতে পারে। এটি গণতান্ত্রিক অধিকারের অংশ হিসেবে গণ্য হয় এবং আইনানুগ উপায়ে সম্পন্ন হলে সাধারণত গ্রহণযোগ্য হয়।
তবে ঘেরাও কর্মসূচি কখনো কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে, বিশেষ করে যদি এটি সহিংসতায় রূপ নেয় বা জনসাধারণের অসুবিধার কারণ হয়। এটি সামগ্রিকভাবে একটি প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর জাগ্রত করার কার্যকর উপায়।
শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি কী?
শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি হলো স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন।
আর কোন দাবিগুলো উত্থাপন করা হয়েছে?
শিক্ষার্থীরা রেবেকা নজরুল চক্রের অপসারণ, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, শিক্ষা সেবার মানোন্নয়ন, সঠিক ফি-স্ট্রাকচার নির্ধারণ এবং শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাহিদা পূরণের মতো বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেছেন।
ঘেরাও কর্মসূচির কারণ কী?
শিক্ষার্থীরা তাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে প্রশাসনের উদাসীনতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ইউজিসি কার্যালয় ঘেরাও করেছেন।
এটি কোথায় এবং কখন অনুষ্ঠিত হয়েছে?
এই কর্মসূচি ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া কী?
শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এই আন্দোলনের ভবিষ্যৎ প্রভাব কী হতে পারে?
যদি দাবি পূরণ করা হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ কমবে এবং শিক্ষার পরিবেশ উন্নত হবে। তবে দাবিগুলো অগ্রাহ্য করা হলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের আন্দোলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
উপসংহার
প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন তাদের ন্যায্য দাবিগুলো তুলে ধরার একটি প্রতিফলন। স্থায়ী ক্যাম্পাসের বাস্তবায়ন, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, এবং মানসম্মত শিক্ষার দাবিতে শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিচালনার প্রয়োজনীয়তাকে আরও স্পষ্টভাবে সামনে নিয়ে আসে। শিক্ষার্থীদের এই পদক্ষেপ শুধু তাদের নিজস্ব অধিকার আদায়ের লড়াই নয়, বরং বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাগুলো তুলে ধরার একটি শক্তিশালী বার্তা। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা এবং দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের আন্দোলনের প্রয়োজন না হয়।




