প্রফেসর এম. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম হওয়ার মানসিকতা গড়ে তোলা জরুরি। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর লক্ষ্য হওয়া উচিত শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন। দ্বিতীয় হওয়ার চিন্তাভাবনা তাদের মন থেকে পুরোপুরি দূর করতে হবে। কারণ, ড্যাফোডিলস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে টপার হওয়ার মতো উপযোগী পরিবেশ বিদ্যমান। এখানে রয়েছে খেলার মাঠ, আধুনিক কনভেনশন সুবিধা, পঞ্চাশটিরও বেশি ক্লাব এবং মেধাবী ও দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলী।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায়) প্রফেসর এম. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, সরকার শীঘ্রই শিক্ষা কমিশন ঘোষণা করতে যাচ্ছে।
তিনি জানান, দেশি-বিদেশি এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতনামা, মেধাবী ও দক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে এই শিক্ষা কমিশন গঠন করা হবে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সাভারের বিরুলিয়ায় অবস্থিত ড্যাফোডিলস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্ষে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায়) প্রফেসর এম. আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। শিক্ষাখাতে বাজেট বৃদ্ধি এবং অন্যান্য সহযোগিতা বাড়িয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে নিরলস কাজ করছে সরকার।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তাদের মধ্যে প্রথম হওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর লক্ষ্য হওয়া উচিত শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন। দ্বিতীয় হওয়ার চিন্তা মন থেকে মুছে ফেলে, প্রথম হওয়ার জন্য অধ্যবসায় করতে হবে। ড্যাফোডিলস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পরিবেশও এ লক্ষ্যে উপযোগী, যেখানে রয়েছে বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা, খেলার মাঠ, আধুনিক কনভেনশন সুবিধা, পঞ্চাশটিরও বেশি ক্লাব এবং দক্ষ ও মেধাবী শিক্ষকমণ্ডলী।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ইংরেজিকে শুধু একটি বিষয় হিসেবে বিবেচনা না করে, এতে দক্ষতা অর্জন করা প্রত্যেকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজিতে পারদর্শিতা অর্জন করা গেলে দেশ ও বিদেশে কর্মক্ষেত্র তৈরি, কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি, গবেষণা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সফল হওয়া সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় তরুণ ও কিশোরদের সৃজনশীলতাকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন না করে মুখস্থবিদ্যাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর ফলে শিশু-কিশোরদের সৃজনশীলতা নষ্ট হয়ে যায়। তোমাদের প্রত্যেককে একজন দক্ষ উদ্ভাবক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এই মানসিকতা ধারণ করলে আমাদের দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
তিনি শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লব-পরবর্তী এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) যুগের সঙ্গে নিজেদের উপযোগী করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদের অধীনে বিভিন্ন বিভাগের ১০৯ জন শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
শিক্ষা কমিশন কী?
শিক্ষা কমিশন হলো একটি বিশেষ কমিটি বা সংস্থা, যা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন, সংস্কার এবং আধুনিকায়নের লক্ষ্যে কাজ করে। এটি নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের পরামর্শ দেয়।
কবে শিক্ষা কমিশন ঘোষণা করা হবে?
বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায়) প্রফেসর এম. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, শিক্ষা কমিশন শিগগিরই, কয়েকদিনের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে।
শিক্ষা কমিশনের সদস্য কারা হবেন?
দেশি-বিদেশি এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতনামা, মেধাবী ও দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন করা হবে।
শিক্ষা কমিশনের প্রধান লক্ষ্য কী হবে?
শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন, গবেষণা ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা, এবং শিক্ষার মানোন্নয়নের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক অগ্রগতি নিশ্চিত করা শিক্ষা কমিশনের প্রধান লক্ষ্য।
এর কার্যক্রম কবে থেকে শুরু হবে?
কমিশন গঠনের পর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী কাজ শুরু করবে।
উপসংহার
শিক্ষাক্ষেত্রে যুগোপযোগী পরিবর্তন ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে শিক্ষা কমিশন গঠনের উদ্যোগ সরকারের একটি দূরদর্শী পদক্ষেপ। মেধাবী ও দক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিশন শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার, এবং গবেষণা কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জাতিকে এগিয়ে নিতে এই কমিশন কার্যকর ও ফলপ্রসূ হবে বলে আশা করা যায়।




