দীর্ঘ ২১ মাস বন্ধ থাকার পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া আবারও চালু হতে যাচ্ছে। আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে খাবার সরবরাহ করা হবে এবং ৫ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাফেটেরিয়াটি উদ্বোধন করা হবে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অধ্যাপক জাকির হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া ৯ ও ১০ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। ৫ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এটির উদ্বোধন করবেন। ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানেজার নির্বাচন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে ক্যাফেটেরিয়ার অবস্থা ছিল নাজুক, তবে সেখানকার বেশ কিছু সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও, ক্যাফেটেরিয়ায় ফ্রি ওয়াইফাই এবং এসি ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি সূত্রে জানা যায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ১২ মার্চ ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ করে দেন ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম। একই বছরের ২৬ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাফেটেরিয়া ফের চালু করা হলেও, এক মাসও পেরোনোর আগেই তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রায় ২১ মাস ধরে ক্যাফেটেরিয়াটি বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে নতুন টিএসসিসি পরিচালকের উদ্যোগে ক্যাফেটেরিয়াটি পুনরায় চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।
দীর্ঘদিন পর ক্যাফেটেরিয়া চালুর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ এর ইবি শাখার সভাপতি ত্বকী ওয়াসীফ বলেন, “ক্যাফেটেরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অন্যতম ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।”
মাস পর চালু হচ্ছে ইবির ক্যাফেটেরিয়া
দীর্ঘ ২১ মাস বন্ধ থাকার পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া পুনরায় চালু হতে যাচ্ছে। আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে খাবার সরবরাহ করা হবে এবং ৫ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ হওয়ার কারণ কী ছিল?
ক্যাফেটেরিয়া দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ২০২৩ সালের ১২ মার্চ বন্ধ করা হয়। কিছুদিন পরে ২৬ আগস্ট এটি আবার চালু করা হলেও, কিছু সময় পর এটি আবার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে, প্রায় ২১ মাস ধরে ক্যাফেটেরিয়াটি বন্ধ ছিল।
ক্যাফেটেরিয়া চালু করার প্রক্রিয়া কীভাবে শুরু হলো?
ক্যাফেটেরিয়া পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নতুন টিএসসিসি পরিচালকের প্রচেষ্টায় গ্রহণ করা হয়, যার ফলস্বরূপ এটি আবার চালু হচ্ছে।
ক্যাফেটেরিয়ায় কী ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে?
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ক্যাফেটেরিয়ায় ব্যাপক সংস্কার কাজ করা হয়েছে। তাছাড়া, ফ্রি ওয়াইফাই এবং এসি ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
ক্যাফেটেরিয়ার উদ্বোধন কবে হবে?
৫ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ ক্যাফেটেরিয়ার উদ্বোধন করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন?
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাফেটেরিয়া চালুর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ এর ইবি শাখার সভাপতি ত্বকী ওয়াসীফ বলেন, “ক্যাফেটেরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অন্যতম ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।”
উপসংহার
দীর্ঘ ২১ মাস পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া পুনরায় চালু হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। ক্যাফেটেরিয়া শুধু খাবারের স্থান নয়, এটি ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্যাফেটেরিয়ার নতুন করে চালু হওয়া, বিশেষ করে সংস্কারকাজ ও আধুনিক সুবিধা সংযোজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হবে। এই উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। 5 জানুয়ারির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ভবিষ্যতে ক্যাফেটেরিয়াকে আরও প্রাণবন্ত ও কার্যকরী করে তুলবে।