শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য না দেওয়ার পেছনে নিয়োগ বাণিজ্য

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরেই নানা সমস্যার সম্মুখীন। এর অন্যতম প্রধান কারণ হল শূন্যপদের তথ্য না দেওয়া এবং নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্টতা। যদিও এনটিআরসিএর লক্ষ্য হল একটি স্বচ্ছ এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ ব্যবস্থা চালু করা, কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং পরিচালনা কমিটির অনীহা ও অদক্ষতার কারণে এই প্রক্রিয়া প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে। এনটিআরসিএর শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ যদি কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় এবং প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি এবং নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মান এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এজন্য প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি, কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি এবং সব সংশ্লিষ্ট পক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ। শুধুমাত্র তখনই শিক্ষক নিয়োগে যে কোনো ধরনের অস্বচ্ছতা ও বাণিজ্য রোধ সম্ভব হবে এবং শিক্ষার্থীরা পাবে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরেই নানা সমস্যার সম্মুখীন। এর অন্যতম প্রধান কারণ হল শূন্যপদের তথ্য না দেওয়া এবং নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্টতা। যদিও এনটিআরসিএর লক্ষ্য হল একটি স্বচ্ছ এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ ব্যবস্থা চালু করা, কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং পরিচালনা কমিটির অনীহা ও অদক্ষতার কারণে এই প্রক্রিয়া প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে। এনটিআরসিএর শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ যদি কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় এবং প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি এবং নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মান এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এজন্য প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি, কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি এবং সব সংশ্লিষ্ট পক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ। শুধুমাত্র তখনই শিক্ষক নিয়োগে যে কোনো ধরনের অস্বচ্ছতা ও বাণিজ্য রোধ সম্ভব হবে এবং শিক্ষার্থীরা পাবে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরেই নানা সমস্যার সম্মুখীন। এর অন্যতম প্রধান কারণ হল শূন্যপদের তথ্য না দেওয়া এবং নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্টতা। যদিও এনটিআরসিএর লক্ষ্য হল একটি স্বচ্ছ এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ ব্যবস্থা চালু করা, কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং পরিচালনা কমিটির অনীহা ও অদক্ষতার কারণে এই প্রক্রিয়া প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে। এনটিআরসিএর শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ যদি কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় এবং প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি এবং নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মান এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এজন্য প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি, কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি এবং সব সংশ্লিষ্ট পক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ। শুধুমাত্র তখনই শিক্ষক নিয়োগে যে কোনো ধরনের অস্বচ্ছতা ও বাণিজ্য রোধ সম্ভব হবে এবং শিক্ষার্থীরা পাবে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরেই নানা সমস্যার সম্মুখীন। এর অন্যতম প্রধান কারণ হল শূন্যপদের তথ্য না দেওয়া এবং নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্টতা। যদিও এনটিআরসিএর লক্ষ্য হল একটি স্বচ্ছ এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ ব্যবস্থা চালু করা, কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং পরিচালনা কমিটির অনীহা ও অদক্ষতার কারণে এই প্রক্রিয়া প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে। এনটিআরসিএর শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ যদি কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় এবং প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি এবং নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মান এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এজন্য প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি, কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি এবং সব সংশ্লিষ্ট পক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ। শুধুমাত্র তখনই শিক্ষক নিয়োগে যে কোনো ধরনের অস্বচ্ছতা ও বাণিজ্য রোধ সম্ভব হবে এবং শিক্ষার্থীরা পাবে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক।

প্রতিবছরের মতো এবারও কিছু এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও পরিচালনা কমিটি এমন অভিযোগ তুলছে যে, এনটিআরসিএর অধিকার থেকে নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্ব আবারো বেসরকারি কমিটির হাতে চলে যাচ্ছে। একই সঙ্গে রিট মামলা সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। তারা দাবি করছে যে, রিট দায়ের করা হয়েছে, রায় শিগগিরই আসবে এবং সেই রায়ে শিক্ষক নিয়োগের পুরো দায়িত্ব পরিচালনা কমিটির হাতে চলে যাবে, যার ফলে আবারও নিয়োগ বাণিজ্য জমজমাট হয়ে উঠবে।

এই পরিস্থিতির মধ্যে, এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রেরিত তথ্য চাহিদা অনুযায়ী, অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধানই শিক্ষক শূন্য পদের তথ্য সরবরাহ করছেন না। ই-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া, যা তথ্য সংগ্রহের প্রথম ধাপ, সেখানে প্রায় ১৩,০০০ প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএর নির্দেশনা উপেক্ষা করে অনুপস্থিত রয়েছে। দেশের একমাত্র জাতীয় পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তা-এর অনুসন্ধানে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

সারাদেশ থেকে দৈনিক আমাদের বার্তা-তে পাঠকরা জানিয়েছেন যে, অনেক প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএর চাহিদা অনুযায়ী ই-রেজিস্ট্রেশন করেনি। ই-রেজিস্ট্রেশন না হলে ই-রিক্যুইজিশন (শূন্যপদের তথ্য প্রদান) দেওয়া সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা গেছে, রংপুর সদরের রাধাকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজের গ্রন্থাগার প্রভাষক পদটি গত ছয় মাস ধরে শূন্য। তবে, কলেজের প্রধান দেলোয়ার হোসেন এনটিআরসিএর চাহিদা অনুযায়ী ই-রিক্যুইজিশন বা শূন্যপদের তথ্য প্রদান করেননি। উল্লেখ্য, ৩১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ই-রিক্যুইজিশনের প্রথম ধাপের শেষ দিন ছিল গত ১০ নভেম্বর। কলেজের অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন বলেন, “শুনেছি, গ্রন্থাগার শিক্ষক পদটি আবারো কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ হবে।”

হাবিবুর রহমান (ছদ্মনাম) নামের একজন গ্রন্থাগার শিক্ষক দৈনিক আমাদের বার্তা-কে জানান, রংপুরের মিঠাপুকুর, গঙ্গাচড়া এবং পীরগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে ই-রিকুইজিশন জমা দেয়নি।

রংপুরের গঙ্গাচড়ার বেতগাড়ী একরামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আফজানুল হকের কাছে গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটায় শূন্যপদের চাহিদা না দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন, “কেন দেওয়া হয়নি, তা পরিচালনা কমিটির কাছ থেকে জেনে জানাতে হবে।”

এমনই অভিযোগ দেখা যাচ্ছে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর আসিয়া হাসান আলী মহিলা কলেজ, জামালপুরের পিংনা সুজাত আলী কলেজ এবং ময়মনসিংহের শাহাবুদ্দিন কলেজের বিরুদ্ধে। সারাদেশে এরকম অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি পর্যায়ে নিম্ন-মাধ্যমিক থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত পাঠদানকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৩৭ হাজার। তবে, এবার ই-রেজিস্ট্রেশন করেছে মাত্র ২৪,৬৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)-এর ই-রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও অন্তত ১৩ হাজার প্রতিষ্ঠান এই প্রক্রিয়া থেকে বিরত রয়েছে। এর ফলে এসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষক স্বল্পতার সম্মুখীন হতে পারে, এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে, ই-রেজিস্ট্রেশন না করা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে এখনও তিনটি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর—মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর—কোনো কারণ দর্শানো বা কৈফিয়ত তলব করেনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তা-কে জানান, “এ পর্যন্ত অধিদপ্তর থেকে কোনো ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বা কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে শোকজ করা হয়নি। তবে, এনটিআরসিএর সুপারিশ অনুযায়ী অতীতে ভুল চাহিদা বা চাহিদা না দিলে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।”

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা এই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে দৈনিক আমাদের বার্তা-কে বলেন, “অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ই-রেজিস্ট্রেশন করতে চান না, এর পেছনে নিয়োগ বাণিজ্যের কথা রয়েছে। গত ১৬ বছরে তারা যে অপকর্ম করেছে, তা আর চলতে দেওয়া হবে না।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন বলেন, “দেশের সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্য ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান উন্নয়নের জন্যই আমরা এনটিআরসিএ প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। আজ যারা নন-এমপিও, কাল তারা এমপিওভুক্ত হবে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে দৈনিক আমাদের বার্তা-এর প্রতিবেদন পড়ে আমি জানতে পারলাম, কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অদক্ষতা এবং বাণিজ্যিক মনোভাবের কারণে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়েছে এবং তা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “এনটিআরসিএতে যারা কর্মকর্তা হিসেবে বদলি হয়ে আসেন, তাদের অবশ্যই বুঝতে হবে—আজ যারা নন-এমপিও, কাল তারা সরকারের সিদ্ধান্তে এমপিওভুক্ত হতে পারে। এমপিও, নন-এমপিও বা সরকারি হাইস্কুল—সব শিক্ষকই একই কারিকুলামের অধীনে একই পাঠ্যবই পড়ান। সুতরাং, তাদের শিক্ষাদানের যোগ্যতা এক মানে উন্নীত করার জন্য সরকার সবসময় চেষ্টা করে যাবে।”

এহছানুল হক মিলন বলেন, “এনটিআরসিএ আইন অনুযায়ী, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এমপিও ও নন-এমপিও শিক্ষকদের মধ্যে কোনো বৈষম্য করা হয়নি।”

প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশের দায়িত্ব এনটিআরসিএর উপর রয়েছে। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর, এনটিআরসিএ শুরুতে শুধুমাত্র প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণী সনদ প্রদান করতো, যা দেখিয়ে শিক্ষকের পদে আবেদন করা যেত। তবে, শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে মূলত বেসরকারি ব্যবস্থাপনা কমিটির নেয়া পরীক্ষাই ছিলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য না দেওয়ার পেছনে কী কারণ থাকতে পারে?

শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য না দেওয়ার পেছনে একটি মূল কারণ হিসেবে নিয়োগ বাণিজ্য উঠে এসেছে। কিছু প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং পরিচালনা কমিটি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এড়াতে বা সুবিধা লাভের জন্য শূন্যপদের তথ্য প্রদান করতে অনীহা প্রকাশ করতে পারেন, যার ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া ভেজাল এবং অবৈধ কাজের সুযোগ তৈরি হয়।

নিয়োগ বাণিজ্য কীভাবে প্রভাব ফেলছে?

নিয়োগ বাণিজ্য তখন ঘটে যখন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার পরিবর্তে আর্থিক সুবিধা বা রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো হয়। এর ফলে যোগ্য প্রার্থীরা নিয়োগ পান না, এবং বরং যারা অসাংবিধানিকভাবে টাকা বা ক্ষমতা ব্যবহার করেন, তারা নিয়োগ পেয়ে যান।

এনটিআরসিএ কেন শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করছে?

এনটিআরসিএ শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্য হল একটি স্বচ্ছ এবং দক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা। প্রতিষ্ঠানগুলোর শূন্যপদের তথ্য পেলে তারা প্রার্থীদের মধ্যে যোগ্যতা যাচাই করতে এবং নির্ভুল নিয়োগ ব্যবস্থা পরিচালনা করতে সক্ষম হয়, যা নির্দিষ্টভাবে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধে সহায়ক।

এনটিআরসিএর তথ্য চাহিদা উপেক্ষা করলে কী শাস্তি হতে পারে?

যদি প্রতিষ্ঠানগুলো এনটিআরসিএর তথ্য চাহিদা উপেক্ষা করে, তবে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এসব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।

এই সমস্যা সমাধান করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?

সমস্যার সমাধান করার জন্য সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নিয়মিত তদারকি এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শিক্ষক নিয়োগে কোনো ধরনের দুর্নীতি বা বাণিজ্যিক মনোভাবকে রুখে দিতে হবে।

উপসংহার

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরেই নানা সমস্যার সম্মুখীন। এর অন্যতম প্রধান কারণ হল শূন্যপদের তথ্য না দেওয়া এবং নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্টতা। যদিও এনটিআরসিএর লক্ষ্য হল একটি স্বচ্ছ এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ ব্যবস্থা চালু করা, কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং পরিচালনা কমিটির অনীহা ও অদক্ষতার কারণে এই প্রক্রিয়া প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে।

এনটিআরসিএর শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ যদি কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় এবং প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি এবং নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মান এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

এজন্য প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি, কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি এবং সব সংশ্লিষ্ট পক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ। শুধুমাত্র তখনই শিক্ষক নিয়োগে যে কোনো ধরনের অস্বচ্ছতা ও বাণিজ্য রোধ সম্ভব হবে এবং শিক্ষার্থীরা পাবে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top