দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচিতে অনড় শিক্ষকরা

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচিতে অনড় শিক্ষকরা

দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকর

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।

সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা বিনা বেতনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছেন। বর্তমানে বেতন-ভাতা না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। শিক্ষকদের এক দফা দাবি—দেশের সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা।

গত ২ নভেম্বর থেকে নন-এমপিও শিক্ষকরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ধারাবাহিকভাবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের একমাত্র দাবি—সারাদেশের নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করা।

এর আগে অক্টোবরে টানা ২০ দিন একই দাবিতে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন। তখন আশ্বাস পাওয়ায় কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলেও দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় তারা পুনরায় আন্দোলনে নেমেছেন।

নন-এমপিও শিক্ষকরা কেন অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন?

তারা দীর্ঘদিন ধরে বিনা বেতনে পাঠদান করছেন এবং বেতন-ভাতা না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের একমাত্র দাবি হলো—সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা।

কর্মসূচি কোথায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে?

নন-এমপিও শিক্ষকরা রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

এই কর্মসূচি কবে থেকে শুরু হয়েছে?

গত ২ নভেম্বর থেকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেছেন এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এর আগে কি তারা একই দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন?

হ্যাঁ, অক্টোবরে টানা ২০ দিন তারা একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন। সরকারের আশ্বাসে তখন তারা কর্মসূচি স্থগিত করেছিলেন।

শিক্ষকদের বর্তমান অবস্থান কী?

দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা আবারও প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন এবং ঘোষণা দিয়েছেন যে এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

উপসংহার

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ন্যায্য দাবির জন্য ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা মনে করেন, শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়নে তাদের অবদান স্বীকৃত হওয়া উচিত। তাই সরকার দ্রুত সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করে শিক্ষকদের আর্থিক ও মানসিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে—এটাই তাদের প্রত্যাশা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top