সম্মন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা না নিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমকে আহবায়ক এবং রেজিস্ট্রারকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রেজিস্ট্রার জানান, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা নিজস্ব পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি শীঘ্রই ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করবে।
একাডেমিক কাউন্সিলে উপস্থিত একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাদের এই দাবির প্রেক্ষিতে সম্মিলিত সদস্যদের সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এবং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কীভাবে পরিচালিত হবে?
বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা করবে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে।
কবে থেকে নতুন ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে?
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য ভর্তি পরীক্ষা শীঘ্রই শুরু হবে।
ভর্তি পরীক্ষার জন্য কি নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে?
হ্যাঁ, ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শিক্ষকরা কেন গুচ্ছ পরীক্ষা থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন?
শিক্ষকরা মনে করেন, নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ শিক্ষার মান এবং প্রক্রিয়াকে উন্নত করবে।
এই পরিবর্তনের ফলে শিক্ষার্থীদের কি উপকার হবে?
শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রস্তুতি অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে, যা তাদের ফলাফল ও আত্মবিশ্বাস উন্নত করতে সহায়তা করবে।
উপসংহার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়েছে। এই পরিবর্তন শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং তাদের আত্মবিশ্বাস ও ফলাফল উন্নত করতে সহায়তা করবে। এর ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আরও গুণগতমানের শিক্ষা প্রদান করা সম্ভব হবে, যা দেশের উচ্চশিক্ষার মানকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।