ইসলামী ছাত্রশিবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা, শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। সংগঠনটি হামলায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করার দাবি করেছে এবং ক্যাম্পাসকে সন্ত্রাসমুক্ত রেখে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের সরাসরি হস্তক্ষেপ ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চবি শাখা ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক সাঈদ বিন হাবিব স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে চবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি নাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেছেন, “ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার জন্য যেসব চক্র সক্রিয় রয়েছে, তাদের মূল হোতাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত।”
বিবৃতিতে শিবির নেতারা দাবি করেন, যুবলীগ সন্ত্রাসী হানিফ গংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন নয়। স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট রাতে রেলক্রসিং এলাকায় হানিফ গংয়ের নেতৃত্বে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। এছাড়া, ব্যবসার আড়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছ পাচার ও বাস সিন্ডিকেটের কলকাঠি নাড়ে সন্ত্রাসী হানিফ।
আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি ক্যাম্পাস এবং আশপাশের এলাকা সন্ত্রাসমুক্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি, দ্রুততম সময়ে জড়িতদের গ্রেফতার এবং শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণের প্রতি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
কেন ছাত্রশিবির হামলার প্রতিবাদ করছে?
ছাত্রশিবির হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি কেন করা হয়েছে?
হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সহায়তা করবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করবে।
ছাত্রশিবিরের অন্যান্য দাবিগুলো কী?
সংগঠনটি ক্যাম্পাসকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে।
হামলার ঘটনা কখন ঘটেছিল?
হামলার ঘটনা ঘটে গত ৫ আগস্ট রাতে এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
কীভাবে ছাত্রশিবির হামলার তথ্য সংগ্রহ করছে?
সংগঠনটি স্থানীয় শিক্ষার্থীদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে ঘটনাগুলি পর্যবেক্ষণ করছে।
ছাত্রশিবিরের প্রধান উদ্দেশ্য কী?
ছাত্রশিবিরের মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ক্যাম্পাসে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা।
এই হামলার ফলে শিক্ষার্থীরা কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে?
শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে একত্রিত হচ্ছেন এবং নিরাপত্তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ করছেন।
উপসংহার
ছাত্রশিবিরের হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও গ্রেফতারের দাবি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা ক্যাম্পাসে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে এবং শিক্ষার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই, সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয় সমাজের কল্যাণে সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য সবার সম্মিলিত উদ্যোগের প্রয়োজন।




