ছাত্রশিবিরের ৬ নেতাকর্মীর সন্ধান চেয়ে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

ছাত্রশিবিরের ৬ নেতাকর্মীর সন্ধান চেয়ে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুম হওয়া ছাত্রশিবিরের ছয় নেতাকর্মীর সন্ধান চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছে তাঁদের পরিবার। সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে প্রসিকিউশন কার্যালয়ে এই অভিযোগ জমা দেন।

পরিবারের সদস্যরা আশা প্রকাশ করেছেন যে, এই অভিযোগের মাধ্যমে গুম হওয়া নেতাকর্মীদের নিখোঁজ থাকার বিষয়ে সুবিচার নিশ্চিত হবে এবং তাঁদের ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়া গুমের অভিযোগে শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছেন হুমায়ূন কবির নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি অভিযোগটি সোমবার সকালে প্রসিকিউশন কার্যালয়ে জমা দেন।

আসামির তালিকায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের নামও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অভিযোগের মাধ্যমে গুম হওয়া ব্যক্তিদের বিষয়টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।

পরে হুমায়ূন কবির জানান, ২০১৮ সালের ২৭ অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করে ১১ দিন আয়না ঘরে বন্দি রাখা হয়। এই সময়ে তাকে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয় এবং হাত-পা ও চোখ বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে নির্যাতন করা হয়। তিনি বলেন, এই অত্যাচার তাঁর উপর অত্যন্ত কষ্টদায়ক ছিল এবং তিনি আশা করছেন, তাঁর অভিযোগের মাধ্যমে গুম হওয়া ব্যক্তিদের বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।

ছাত্রশিবিরের ৬ নেতাকর্মী কবে গুম হন?

এই ৬ নেতাকর্মী ২০১৮ সালে গুম হন, কিন্তু তাদের গুম হওয়ার সঠিক তারিখ এখনও স্পষ্ট নয়।

অভিযোগটি কাদের বিরুদ্ধে দাখিল করা হয়েছে?

অভিযোগটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে দাখিল করা হয়েছে।

অভিযোগটি কোথায় দাখিল করা হয়েছে?

অভিযোগটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে।

অভিযোগ দাখিলের পেছনে মূল উদ্দেশ্য কী?

অভিযোগের মাধ্যমে গুম হওয়া নেতাকর্মীদের সন্ধান ও তাঁদের পরিবারের ন্যায়বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।

হুমায়ূন কবিরের অভিজ্ঞতা কী ছিল?

হুমায়ূন কবির জানান, তাঁকে ১১ দিন বন্দি করে রাখা হয় এবং এই সময়ে তিনি নানাবিধ নির্যাতনের শিকার হন, যার মধ্যে ইলেকট্রিক শক দেওয়া এবং উল্টো ঝুলিয়ে রাখা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

ছাত্রশিবিরের ৬ নেতাকর্মী কবে গুম হন?

এই ৬ নেতাকর্মী ২০১৮ সালের ২৭ অক্টোবর গুম হন।

অভিযোগটি কাদের বিরুদ্ধে দাখিল করা হয়েছে?

অভিযোগটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে দাখিল করা হয়েছে।

উপসংহার

ছাত্রশিবিরের ৬ নেতাকর্মীর গুম হওয়ার ঘটনার তদন্ত ও তাঁদের সন্ধান চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। অভিযোগের মাধ্যমে শুধু নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের ন্যায়বিচারের দাবি জানানো হয়নি, বরং এটি একটি broader সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিফলন। হুমায়ূন কবিরের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বোঝা যায়, রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন কিভাবে ব্যক্তিগত জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। এই অভিযোগের মাধ্যমে রাষ্ট্রের নীতির প্রতি প্রশ্ন তোলা হচ্ছে এবং গুম হওয়া ব্যক্তিদের বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। আশা করা যায়, এর মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top