নিম্নমানের খাদ্যের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে, যেখানে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে। কর্তৃপক্ষ যদি এ বিষয়ে কোনও নবীন উদ্যোগ গ্রহণ করত, তাহলে একদিকে শিক্ষার্থীরা পুষ্টিকর ও মানসম্মত খাবার পেত এবং অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ও অতিরিক্ত আয় করে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণমূলক খাতে ব্যয় করতে পারত।

দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জনসাধারণের অর্থে পরিচালিত হয় এবং তাদের নিজস্ব আয়ের উৎস অত্যন্ত সীমিত। আমাদের মনে হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবশ্যই কিছু আয়ের উৎস থাকা উচিত, তবে সেই উৎসগুলো হওয়া উচিত ন্যায্য ও গ্রহণযোগ্য। ভর্তি ফি বাড়িয়ে এবং ভর্তি ইচ্ছুকদের তা দিতে বাধ্য করায় যে আয় হয়, সেটিকে সঠিক বা যৌক্তিক পদক্ষেপ বলা যায় না। তবুও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এমনটি করে থাকে, বিশেষ করে তারা যারা ভর্তিচ্ছুদের দীর্ঘদিনের দাবি থাকা সত্ত্বেও ক্লাস্টারভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এড়িয়ে চলে।
ভর্তিচ্ছুরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসে এবং এ সময় তারা আর্থিক সংকটে পড়ে, কারণ তাদের অধিকাংশই পিতামাতার আয়ের ওপর নির্ভরশীল। এমন পরিস্থিতিতে ভর্তি ফরম বিক্রির মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করাকে কোনোভাবেই ভালো উদ্যোগ বলা যায় না। এটি neither উদ্ভাবন nor গৌরবের বিষয়—বরং এটি একটি অনভিপ্রেত পন্থা, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।
এটিকে কোনোভাবেই সাহসী বা গৌরবজনক কাজ বলা যায় না। বিশেষ করে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের জন্য এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যানটিন বা ক্যাফেটেরিয়ায় মানসম্মত খাবার সরবরাহে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের জটিল ও নোংরা রাজনীতি এই দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার কোনো সমাধান দিতে পারে না। পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে পারছে না। তারা বাধ্য হয়ে অত্যন্ত নিম্নমানের ও প্রোটিন-ঘাটতিপূর্ণ খাদ্যের ওপর নির্ভর করে।
যদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখানে কোনো উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণ করত, তাহলে একদিকে শিক্ষার্থীরা পেত পুষ্টিকর মানসম্মত খাবার, অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ও অতিরিক্ত কিছু আয় করতে পারত, যা পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে ব্যয় করা যেত। এমনকি কিছু শিক্ষার্থী, যারা অতিরিক্ত উপার্জনের সুযোগ খুঁজছে, তারা এখানে কাজ করে উপার্জন করতে পারত। এ ধরনের উদ্যোগই প্রকৃত অর্থে সাহসী ও ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদেরকে সারা দেশে ঘুরে বেড়াতে হয়, যার ফলে তারা নানা ধরণের জটিল সমস্যার সম্মুখীন হয়। অভিভাবকরাও থাকেন চরম উৎকণ্ঠায়। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতের সময় অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনারও শিকার হতে হয় তাদের। বিশেষ করে মেয়েশিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়, কারণ নিরাপত্তার অভাবে তারা একা এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাতায়াত করতে পারে না। ফলে অভিভাবকদের সঙ্গ দিতে হয়, যা বাড়তি চাপ ও হয়রানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। তারা কেবল নিজেদের স্বাচ্ছন্দ্য ও আর্থিক লাভের দিকটিই বিবেচনা করে, যা কোনভাবেই প্রশংসনীয় নয়।
দেশের বহু পত্রিকায় বারবার এই বিষয়গুলো উঠে এসেছে—প্রতি বছর কিভাবে ভর্তিচ্ছুরা দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যায়। আমি নিজেও আশির দশকে বরিশাল থেকে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার অভিজ্ঞতা দিয়ে সে কথা তুলে ধরেছি। তখন আমার মনে হয়েছিল, যদি আমি বরিশালেই বসে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারতাম! এখনকার ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্যও এমন ব্যবস্থা করা যেত—যাতে তারা অন্তত নিজেদের বিভাগীয় শহর থেকেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারত। এতে তাদের ভোগান্তি অনেকটাই কমে যেত এবং এটি হতো সময়োপযোগী ও মানবিক উদ্যোগ।
একই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চাইলেই সম্মিলিত (ক্লাস্টার) ভর্তি পরীক্ষা নিতে পারত। ধরুন, একজন শিক্ষার্থী সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আগ্রহী—তাহলে মাত্র দুটি ক্লাস্টারে অংশগ্রহণ করলেই তার ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারত। এতে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ এবং যাতায়াত ব্যয় কমে যেত, আর অভিভাবকরাও অনেকটাই নিশ্চিন্ত থাকতেন। আমাদের দেশে অনেক আগে থেকেই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় এর সফল প্রয়োগ রয়েছে। তাহলে এই মডেলটি আমরা অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োগ করতে পারছি না কেন?
বহু আলোচনার পর অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্লাস্টার ভর্তি পরীক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, কিন্তু এখনও এটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারেনি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এখনো এতে অংশগ্রহণে অনীহা দেখায়—বিভিন্ন অজুহাত তুলে ধরে তারা শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলোকে উপেক্ষা করছে।
সম্প্রতি একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস্টার পদ্ধতি থেকে বিরত থাকার অন্তর্নিহিত কারণ তুলে ধরেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, “ক্লাস্টার ভর্তি পরীক্ষার বাইরে গিয়ে পৃথক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া ছিল একটি সাহসী পদক্ষেপ। আমাদের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্মিলিত চেষ্টায় এটি সম্ভব হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আর্থিক দিক থেকেও নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এই অর্থ শিক্ষা, বৃত্তি ও প্রযুক্তি উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।”
আমরা মনে করি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব আয় বৃদ্ধির অধিকার আছে—তবে সেই আয়ের পথটি হতে হবে ন্যায্য এবং শিক্ষার্থীবান্ধব। ক্লাস্টার পদ্ধতি থেকে সরে গিয়ে আলাদা পরীক্ষা নেওয়াকে কোনোভাবেই গৌরব বা সাহসী পদক্ষেপ বলা চলে না। আলাদা ভর্তি পরীক্ষা তো যুগের পর যুগ ধরেই চলে আসছে। বরং ক্লাস্টার পদ্ধতিকে অনুসরণ করাই একটি চ্যালেঞ্জ, কারণ এতে কিছু জটিলতা থাকলেও শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বহু উপকার বয়ে আনে। শিক্ষকদের ও কর্মচারীদের জন্য এটি কিছুটা ঝামেলার হতে পারে, কারণ তারা ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে হয় এবং অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধাও তুলনামূলকভাবে কম পায়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) এই পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জোর করে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে না, তারা কেবল অনুরোধ করতে পারে। আমরা জানি, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু প্রভাবশালী শিক্ষক আছেন যারা উপাচার্যদের নেপথ্যে নিয়ন্ত্রণ করেন এবং তাদের সিদ্ধান্তগুলো নিজেদের স্বার্থে পরিচালিত করেন। তারা শিক্ষার্থীদের কষ্ট কিংবা জাতীয় পর্যায়ের সমস্যাগুলো খুব একটা গুরুত্ব দেন না।
আমাদের দেশে বহু বছর আগে থেকেই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ক্লাস্টার পদ্ধতির সফল উদাহরণ রয়েছে এবং সেটি এখনও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। যখন মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এটি সফলভাবে চালিয়ে যেতে পারছে, তখন অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কেন পারবে না? কিন্তু অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় নানা অজুহাতে এই পদ্ধতিতে অংশগ্রহণে অনাগ্রহ দেখিয়ে চলেছে।
এই বিষয়টির আসল রহস্য তখনই উন্মোচিত হয়, যখন পত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়—২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ১২ কোটি টাকা আয় করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০২তম সিন্ডিকেট সভায় (৩০ জুন) এই তথ্যটি উপস্থাপন করেন কোষাধ্যক্ষ। ওই সভায় আরও উল্লেখ করা হয়, ক্লাস্টার ভর্তি পদ্ধতি থেকে সরে এসে তারা তাদের নিজস্বতা এবং স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেছে। অন্যদিকে, আলাদা ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে যে বিপুল অর্থ আয় হয়েছে, সেটি শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে ব্যয় করা যেতে পারে বলে তারা দাবি করে। আমাদের ধারণা, এটাই হলো মূল কারণ, যার জন্য তারা ক্লাস্টার ভর্তি পরীক্ষাকে এড়িয়ে গেছে। এখানে অর্থই মুখ্য হয়ে উঠেছে; অন্য যুক্তিগুলো আসলে তুচ্ছ।
আমার মত অনুযায়ী, শুধুমাত্র বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়—এই কয়েকটি প্রতিষ্ঠানই এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিতে পারে। বাকি সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত ক্লাস্টার পদ্ধতির আওতায় আসা, যেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বারবার পরীক্ষা দিতে গিয়ে যে ভোগান্তি, খরচ ও মানসিক চাপের মুখে পড়ে, তা থেকে মুক্তি পায়। এতে তাদের পরিবারগুলোরও আর্থিক কষ্ট অনেকটা লাঘব হবে।
বর্তমানে দেশে ৫৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ধরুন, একজন শিক্ষার্থী যদি অন্তত এক-তৃতীয়াংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়, তাহলে সেটি তার জন্য যেমন অর্থনৈতিক বোঝা, তেমনি মানসিক ও শারীরিক চাপের বিষয়ও।
পূর্ববর্তী সরকার একসময় প্রতিটি জেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছিল, যা আদতে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের আরেকটি ফাঁদ হিসেবে কাজ করত। ঈশ্বরের রহমতে সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। দেশে আরও টেকনিক্যাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা জরুরি, পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার সুযোগও সম্প্রসারণ প্রয়োজন; কিন্তু তার মানে এই নয় যে, প্রতিটি জেলার দোরগোড়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে হবে। উচ্চশিক্ষা সবার জন্য বাধ্যতামূলক নয়। যারা উচ্চশিক্ষা নিতে চায়, তাদের জন্য বিকল্প পথ যেমন—প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, অনলাইন শিক্ষা বা নৈশকালীন কোর্স—চালু রাখা যেতে পারে। কিন্তু প্রতিটি জেলার জন্য আলাদা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং তারপর শিক্ষার্থীদের সেইসব প্রতিষ্ঠানে দৌড়াতে বাধ্য করাটিকে কোনোভাবেই যুক্তিসংগত বলা যায় না।
আমাদের বিদ্যমান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো উচিত—নতুন বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের নামে কৃষিজমি নষ্ট না করে। আর ভর্তি পরীক্ষা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হওয়া উচিত ক্লাস্টার পদ্ধতির মাধ্যমে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বাইরে যাওয়ার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আসল উদ্দেশ্য কী?
মূলত আর্থিক লাভের আশায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতি এড়িয়ে চলছে। যেমন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আলাদা ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে প্রায় ১২ কোটি টাকা আয় করেছে বলে সিন্ডিকেট সভায় প্রকাশ পেয়েছে।
গুচ্ছ পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের জন্য কেন জরুরি?
গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ, আর্থিক ব্যয় ও ভোগান্তি অনেক কমিয়ে দেয়। একাধিক ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে তারা মাত্র কয়েকটি পরীক্ষায় অংশ নিয়েই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারে।
কেবল কোন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একক ভর্তি পরীক্ষা নিতে সক্ষম?
বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিত গুচ্ছ পদ্ধতি অনুসরণ করা।
গুচ্ছ পদ্ধতিতে না গেলে শিক্ষার্থীরা কী ধরনের সমস্যায় পড়ে?
তাদেরকে দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাতায়াত করতে হয়, যা সময়, অর্থ এবং নিরাপত্তার দিক থেকে কষ্টসাধ্য। বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা সংকটে পড়ে এবং অভিভাবকদের দ্বিগুণ চাপ সহ্য করতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই অবস্থানের বিষয়ে কী করণীয়?
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) চাপ প্রয়োগ না করলেও অনুরোধ ও নীতিগত দিকনির্দেশনার মাধ্যমে একটি বাস্তবভিত্তিক ও শিক্ষার্থীবান্ধব ভর্তি ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে গুচ্ছ পদ্ধতি বাস্তবায়ন জরুরি।
উপসংহার
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা একটি সময়োপযোগী ও শিক্ষার্থীবান্ধব ব্যবস্থা, যা দেশের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, সমতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করতে পারে। অথচ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক লাভের আশায় এই পদ্ধতি থেকে নিজেদের বিরত রাখছে, যা শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলছে। শিক্ষা যেন বাণিজ্যের হাতিয়ার না হয়—সেই চেতনায় ফিরতে হবে। বিদ্যমান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও গুচ্ছ পদ্ধতির কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা সামনে এগিয়ে যেতে পারে।




