হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে একদিনের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংগঠন ‘ইন্টার্ন ডক্টরস সোসাইটি (আইডিএস)’। তাদের এই কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কর্মবিরতিতে যোগ দিয়েছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরাও।

নিরাপত্তাহীন পরিবেশের প্রতিবাদে একদিনের কর্মবিরতি পালন করছেন মিটফোর্ড হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মবিরতিতে যোগ দিয়েছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরাও।
রোববার (১৩ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মবিরতি চলবে সারাদিনব্যাপী।
শনিবার রাতে মিটফোর্ড হাসপাতাল শাখা ইন্টার্ন ডক্টরস সোসাইটি (আইডিএস) এক বিবৃতিতে জানায়, “আমরা মিটফোর্ড হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা, ক্যাম্পাস ও হাসপাতালে চলমান নিরাপত্তাহীন পরিবেশের প্রতিবাদে রোববার সকাল ৮টা থেকে একদিনের কর্মবিরতিতে যাচ্ছি। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরাও আমাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে।”
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে আরও কর্মসূচি গ্রহণ করা হতে পারে।
মিটফোর্ড হাসপাতাল চত্বরে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে একদিনের কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। রোববার (১৩ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলবে সারাদিনব্যাপী। এ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরাও।
শনিবার রাতে মিটফোর্ড হাসপাতাল শাখা ইন্টার্ন ডক্টরস সোসাইটি (আইডিএস) এক বিবৃতিতে জানায়, ক্যাম্পাস ও হাসপাতাল এলাকায় ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতা, বিশেষ করে ৯ জুলাই আনসার ক্যাম্পের সামনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তারা গভীরভাবে মর্মাহত ও উদ্বিগ্ন। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
Read More 1x বাজি apps
এর আগে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানান, “আমরা এই বর্বরোচিত ও মনুষ্যত্বহীন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এই ঘটনার পর আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে চরম শঙ্কা তৈরি হয়েছে।” স্মারকলিপিতে তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে কয়েকটি সুস্পষ্ট দাবি তুলে ধরেন:
হাসপাতাল চত্বরে কার্যকর আনসার মোতায়েন
প্রতিটি ফটকে সশস্ত্র আনসার সদস্য নিয়োগ
নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক পরিবীক্ষণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা
চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি পূরণ না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কেন কর্মবিরতি পালন করছেন?
৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের ভেতরে আনসার ক্যাম্পের সামনে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর নিরাপত্তাহীনতার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।
কর্মবিরতির সময় ও মেয়াদ কত?
এই কর্মবিরতি রোববার (১৩ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে সারাদিনব্যাপী চলবে।
কারা এই কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে?
সার্বিক নিরাপত্তা সংকটের প্রতিবাদে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরাও একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কী কী দাবি জানিয়েছেন?
তাদের দাবি মধ্যে রয়েছে:
হাসপাতাল এলাকায় কার্যকর ও সশস্ত্র আনসার মোতায়েন
প্রতিটি প্রবেশদ্বারে আনসার সদস্য নিয়োগ
দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ
ভবিষ্যতে তারা কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে?
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যদি দাবি মানা না হয়, পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে যেতে পারেন।
উপসংহার
মিটফোর্ড হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি কেবল একটি প্রতিবাদ নয়, এটি চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জরুরি প্রয়োজনীয়তার প্রতীক। সহিংসতার ঘটনা শুধু চিকিৎসকদের মনে ভীতি ছড়ায় না, বরং পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। তাই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উত্থাপিত যৌক্তিক দাবিগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন এবং হাসপাতাল চত্বরে নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।




