জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে সংগঠনটি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।その অংশ হিসেবে তারা নিম, কদবেল, লটকন, আমড়া, আমসহ বিভিন্ন ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করেছে।

স্লোগান: “গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি”—এই শ্লোগানকে ধারণ করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল পাঁচ শতাধিক বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বুধবার (৯ জুলাই) জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হল চত্বরে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তারা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু দাউদ ও রুকন উদ্দিন এবং সদস্য রাফিজ আহমেদ, নূর উদ্দিন, রুকনুজ্জামান, রাকিব হাসান সাক্ষর, তৌফিক, আল আমিন, রিয়াজ, হাফিজ, শাহরিয়ার নিলয়, রেজাউল, আলী নূরসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংগঠনটি নিম, কদবেল, লটকন, আমড়া ও আম গাছসহ বিভিন্ন ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করেছে। পরবর্তীতে তারা কয়েক ধাপে আরও চারা রোপণ করবে।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মুগ্ধ সরোবরে একটি ফুল ও ফলের বাগান নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র জনতার স্মরণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল পাঁচ শতাধিক বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
বুধবার (৯ জুলাই) ‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’—এই শ্লোগান নিয়ে জিয়াউর রহমান হল চত্বরে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচির সূচনা হয়। এতে নিম, কদবেল, লটকন, আমড়া ও আমসহ বিভিন্ন ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করা হয়।
আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন,
“জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের মুক্তিকামী ছাত্র জনতার ওপর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার যে গণহত্যা চালিয়েছিল, সেই শহীদদের স্মরণে আমরা এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। জিয়া ট্রি রোপণের মাধ্যমে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ করবো, গাছ বিতরণ করবো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকপাড়ে একটি বাগানও তৈরি করবো।”
তিনি আরও বলেন,
“আমরা একটি সাম্য, মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন, নিরাপদ বাংলাদেশ চাই। সেই সাথে চাই একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস ও জনজীবন। সবাই মিলে আমরা জুলাই শহীদদের স্মরণ করবো ও তাদের চেতনাকে বুকে ধারণ করবো।”
উল্লেখ্য, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচিকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন হলে ও ক্যাম্পাসজুড়ে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছেন।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
ইবিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্দেশ্য কী ছিল?
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ হিসেবে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
কর্মসূচির আওতায় কী ধরনের গাছ রোপণ করা হয়েছে?
কর্মসূচির অংশ হিসেবে নিম, কদবেল, লটকন, আমড়া, আমসহ বিভিন্ন ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের পাঁচ শতাধিক চারা রোপণ করা হয়েছে।
কর্মসূচির সূচনা কোথায় হয়েছে?
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় জিয়াউর রহমান হল চত্বরে একটি “জিয়া ট্রি” রোপণের মধ্য দিয়ে।
ভবিষ্যতে আর কী কী পরিকল্পনা রয়েছে?
ছাত্রদল নেতারা জানিয়েছেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকপাড়ে একটি ফুল ও ফলের বাগান নির্মাণের পাশাপাশি ক্যাম্পাসজুড়ে চারা রোপণ ও বিতরণ করবেন।
আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ কী বলেছেন কর্মসূচি নিয়ে?
তিনি বলেন, “জুলাই শহীদদের স্মরণে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আমরা একটি নিরাপদ, মানবিক এবং সাম্যভিত্তিক বাংলাদেশ চাই। সবাইকে নিয়ে জুলাই চেতনাকে ধারণ করবো।”
উপসংহার
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুধু পরিবেশ সচেতনতা নয়, বরং একটি আদর্শ ও চেতনার বহিঃপ্রকাশ। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারা শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে একটি সবুজ, মানবিক ও সাম্যভিত্তিক ভবিষ্যৎ গঠনের অঙ্গীকার করেছে। গাছ লাগিয়ে যেমন প্রকৃতি রক্ষা হয়, তেমনি শহীদদের আদর্শ ধারণ করে গড়ে তোলা যায় একটি নিরাপদ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ। এই ধরনের উদ্যোগ নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে এবং মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।