“মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার আঞ্চলিক পরিচালক এবং উপ-পরিচালকের অধীনস্থ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রদর্শনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে বাস্তবায়ন অগ্রগতির প্রতিবেদন অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইং-এ প্রেরণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।”

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইংয়ে পাঠানো এক অফিস আদেশে জানানো হয়েছে, দেশের সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী প্রচারণা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে তার অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ৯ জুলাই ২০২৫ তারিখের মধ্যে পাঠাতে হবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাউশির অধীনস্থ সকল আঞ্চলিক পরিচালক এবং উপ-পরিচালকের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, মাদকের কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তুতকৃত নিম্নলিখিত উপকরণ সংগ্রহ করতে হবে:
১। মাদকবিরোধী ডকুমেন্টারি
২। মাদকবিরোধী থিম সং
উক্ত উপকরণগুলো সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রদর্শনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং প্রদর্শনের পর বাস্তবায়ন অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইংয়ে প্রেরণ বাধ্যতামূলক।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল করতে ক্লিক করুন।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
মাদকবিরোধী প্রচারণার উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: এই প্রচারণার মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা এবং মাদকবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।
প্রশ্ন: কোন উপকরণ প্রদর্শনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে?
- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তুতকৃত দুটি উপকরণ:
- (১) মাদকবিরোধী ডকুমেন্টারি
- (২) মাদকবিরোধী থিম সং
এসব উপকরণ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করে প্রদর্শনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
কোন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে?
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী এই কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে এবং মাউশি (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর) থেকে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অগ্রগতি প্রতিবেদন কোথায় ও কখন পাঠাতে হবে?
উত্তর: প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তাদের কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রতিবেদন ৯ জুলাই ২০২৫ তারিখের মধ্যে মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইংয়ে পাঠাতে হবে।
কারা এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবেন?
উত্তর: আঞ্চলিক পরিচালক ও উপ-পরিচালকের অধীনস্থ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবেন। তারা স্থানীয় পর্যায়ে কার্যক্রম তদারকি ও প্রতিবেদন প্রেরণে সহায়তা করবেন।উপসংহার
উপসংহার
মাদক একটি ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি, যা তরুণ প্রজন্মকে বিপথে ঠেলে দেয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে সচেতনতা গঠনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। তাই মাদকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে মাদকবিরোধী প্রচারণা একটি সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রদর্শন কার্যক্রম সম্পন্ন করে অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রেরণের মাধ্যমে এই উদ্যোগকে সফল করতে সংশ্লিষ্ট সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন একান্ত প্রয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্রিয় অংশগ্রহণই পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মাদকমুক্ত ও সুস্থ সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে।




