প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান

প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান

এইচএসসিতে ফেল করা একদল শিক্ষার্থী অটোপাসের দাবি তুলেছেন। গতকাল রোববার, তাদের উদ্ভট দাবির বিরোধিতা করায় তারা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগও দাবি করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে, অধ্যাপক তপন কুমার সরকার শিক্ষা সচিবের কাছে চেয়ারম্যানের পদ থেকে প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছেন।

সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও তপন কুমার সরকার দৈনিক আমাদের বার্তাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল রোববার, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল বাতিল করে পুনরায় ফল তৈরি ও প্রকাশের দাবি জানিয়ে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন ফেল করা কিছু শিক্ষার্থী। পরে তারা তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বোর্ড কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে হামলা ও ভাঙচুর চালান।

বেলা ১১টা থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়, যেখানে অনেক নারী অভিভাবকও উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বোর্ডের প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন এবং বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষ তছনছ করেন। তারা অন্যান্য কর্মকর্তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও গালমন্দ করেন। বোর্ডের ইতিহাসে এভাবে কেউ কখনো নিজ অফিস কক্ষে লাঞ্ছিত হননি বলে তাদের অভিযোগ।

গতকাল রোববার, ঢাকা ছাড়াও ময়মনসিংহ, যশোর ও দিনাজপুর বোর্ডের শিক্ষার্থীরাও একই দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন এবং কর্মকর্তাদের ঘন্টার পর ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তারা অত্যন্ত ধৈর্য্যের সঙ্গে কাজ করছেন।

শিক্ষাসহ সকল খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল আইকনে ক্লিক করুন। বেল আইকনটি ক্লিক করলে আপনার স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

কেন ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন?

ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার, শিক্ষার্থীদের অটোপাসের দাবির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে এবং বিক্ষোভের ঘটনায় ঘটিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে পদত্যাগের জন্য আবেদন করেছেন।

বিক্ষোভের কারণ কী ছিল?

বিক্ষোভের কারণ হলো এইচএসসিতে ফেল করা শিক্ষার্থীদের অটোপাসের দাবি, যা তারা বোর্ডের কর্মকর্তাদের ওপর হামলার মাধ্যমে তুলে ধরেছিল।

কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া কী?

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে এবং পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।

এই ঘটনা শিক্ষা ব্যবস্থাকে কিভাবে প্রভাবিত করবে?

এ ধরনের ঘটনা শিক্ষা ব্যবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া এবং শিক্ষার্থীদের ওপর কর্তৃপক্ষের বিশ্বাসকে।

ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে?

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বোর্ডের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষা করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।

কেন ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান পদত্যাগের জন্য আবেদন করেছেন?

তিনি শিক্ষার্থীদের অটোপাসের দাবির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার পর ঘটে যাওয়া বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে পদত্যাগের আবেদন করেছেন।

বিক্ষোভের কারণ কী ছিল?

বিক্ষোভের মূল কারণ ছিল এইচএসসিতে ফেল করা শিক্ষার্থীদের অটোপাসের দাবি এবং এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের প্রতিরোধ।

উপসংহার

ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যানের প্রত্যাহারের আবেদন ও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনার মাধ্যমে বোর্ডের পরিচালনার প্রক্রিয়া এবং শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি কর্তৃপক্ষের মনোভাবের গুরুত্ব সামনে এসেছে। আশা করা যায়, কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে এবং একটি কার্যকর সমাধান বের করতে পদক্ষেপ নেবে। ভবিষ্যতে শিক্ষাক্ষেত্রে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top