দাওয়াতপ্রাপ্ত আওয়ামীপন্থী ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির, অধ্যাপক তপন কুমার শাহা, অধ্যাপক শফিক উর রহমান, অধ্যাপক এ এ মামুন, অধ্যাপক শাহেদুর রশিদ, অধ্যাপক মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী জামিল।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৪২তম বার্ষিক সিনেট সভায় দাওয়াত পেয়েছেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কয়েকজন রাজনৈতিকভাবে সংশ্লিষ্ট ও বিতর্কিত ব্যক্তি—এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একাধিক সূত্র।
জানা গেছে, আগামী শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সিনেট সদস্য হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল পারভেজ এবং আওয়ামী লীগের মনোনীত গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহের হোসেন মোল্লা-সহ কয়েকজন শিক্ষককে, যাদের বিরুদ্ধে পূর্বে জুলাই মাসে সংঘটিত সহিংসতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।
- দাওয়াতপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন:
- অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির
- অধ্যাপক তপন কুমার শাহা
- অধ্যাপক শফিক উর রহমান
- অধ্যাপক এ এ মামুন
- অধ্যাপক শাহেদুর রশিদ
- অধ্যাপক মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান
- জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী জামিল
এদের অনেকে পূর্বে ক্যাম্পাসে সংঘটিত আন্দোলন ও সহিংস ঘটনার সময় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন বা রাজনৈতিকভাবে অবস্থান নিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন ছাত্রসংগঠনের নেতারা।
এ প্রসঙ্গে জাবি শিবির শাখার সভাপতি মহিবুর রহমান মুহিব বলেন, “সিনেটের নামে আমরা আওয়ামী পুনর্বাসন মেনে নেব না। দুঃখজনক যে, যিনি নিজেকে গণঅভ্যুত্থানের প্রোডাক্ট বলেন, সেই উপাচার্য কীভাবে ওই অভ্যুত্থানের বিরোধিতাকারীদের সিনেটে আমন্ত্রণ জানান। জাবিতে রাজনৈতিক পক্ষপাতের এ ধরনের প্রচেষ্টা আমরা মেনে নেব না।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৪২তম বার্ষিক সিনেট সভায় যুবলীগ নেতাসহ কয়েকজন রাজনৈতিকভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও পূর্বে বিতর্কে জড়ানো কয়েকজন শিক্ষককে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সভাটি অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (২৯ জুন) বিকেল সাড়ে তিনটায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে। দাওয়াতপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল পারভেজ এবং আওয়ামী লীগের মনোনীত গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহের হোসেন মোল্লা। এছাড়াও দাওয়াত পেয়েছেন শিক্ষক এবং সাবেক ছাত্রনেতাসহ কয়েকজন, যাদের বিরুদ্ধে আগে জুলাইয়ের ঘটনায় সহিংসতার মদদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
- দাওয়াতপ্রাপ্তদের তালিকায় রয়েছেন:
- অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির
- অধ্যাপক তপন কুমার শাহা
- অধ্যাপক শফিক উর রহমান
- অধ্যাপক এ এ মামুন
- অধ্যাপক শাহেদুর রশিদ
- অধ্যাপক মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান
- ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী জামিল
- এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাবি শাখা বাংলাদেশ ছাত্রশিবির ও বাম সংগঠন বাগছাস।
জাবি শিবিরের সভাপতি মহিবুর রহমান মুহিব বলেন,
“সিনেটের নামে আওয়ামী পুনর্বাসন মেনে নেব না। দুঃখজনকভাবে উপাচার্য নিজেকে গণঅভ্যুত্থানের প্রোডাক্ট দাবি করলেও এখন সেই অভ্যুত্থান বিরোধীদেরই আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।”
বাগছাস জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন,
“জাবি প্রশাসন যদি মনে করে তারা কালকের সিনেট অধিবেশনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন করবে, তাহলে আমরা তাদের ছেড়ে কথা বলব না। আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই, আওয়ামী দোসরদের সিনেটে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।”
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান-এর সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
কাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সভায়?
সিনেট সদস্য হিসেবে দাওয়াত পেয়েছেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল পারভেজ, গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহের হোসেন মোল্লা, এবং কয়েকজন রাজনৈতিকভাবে সংশ্লিষ্ট অধ্যাপক ও সাবেক ছাত্রনেতা।
এই দাওয়াত নিয়ে বিতর্কের কারণ কী?
অনেক শিক্ষার্থী ও সংগঠন মনে করেন, যাঁরা আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন দমন বা গুজব-সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের সিনেট সভায় আমন্ত্রণ রাজনৈতিক পুনর্বাসনের অংশ। এ নিয়ে ছাত্রশিবির ও বাম সংগঠন বাগছাস প্রতিবাদ জানিয়েছে।
দাওয়াত পাওয়া শিক্ষক ও নেতারা কারা?
দাওয়াত পেয়েছেন অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির, তপন কুমার শাহা, শফিক উর রহমান, এ এ মামুন, শাহেদুর রশিদ, মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান ও জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী জামিল।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবস্থান কী?
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
শিক্ষার্থীদের দাবি কী?
বিক্ষুব্ধ সংগঠনগুলোর দাবি, এই সিনেট সভায় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ ‘আওয়ামী পুনর্বাসনের চেষ্টা’। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, সিনেট সভায় এ ধরনের পক্ষপাত মেনে নেওয়া হবে না।