“জরিপে অংশগ্রহণকারী ৩৩ শতাংশ ব্যক্তি মনে করেন, কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হলে প্রশ্নফাঁস রোধ করা সম্ভব। অন্যদিকে, ৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এ বিষয়ে কোনো মতামত প্রকাশ করেননি।”

চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও গুজব রোধে দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২৫ জুন মধ্যরাত থেকে শুরু করে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।
তবে এই সিদ্ধান্তে প্রশ্নফাঁস পুরোপুরি ঠেকানো সম্ভব নয় বলে মনে করছেন অধিকাংশ সাধারণ মানুষ। দেশের শিক্ষাবিষয়ক পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিচালিত এক অনলাইন জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৪ শতাংশ জানিয়েছেন, কেবল কোচিং সেন্টার বন্ধ করে প্রশ্নফাঁস ঠেকানো সম্ভব নয়।
জরিপে অংশ নেওয়া ৩৩ শতাংশ ব্যক্তি মনে করেন, কোচিং সেন্টার বন্ধ করাই প্রশ্নফাঁস রোধে কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে। এ ছাড়া বাকি ৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এ বিষয়ে কোনো মতামত দেননি।
এই জরিপটি দৈনিক শিক্ষাডটকমের ওয়েবসাইটে ২৫ জুন বিকেল থেকে ২৭ জুন সকাল পর্যন্ত চালানো হয়।
চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও গুজব রোধে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, ২৫ জুন মধ্যরাত থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশজুড়ে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
তবে এ সিদ্ধান্ত প্রশ্নফাঁস রোধে কার্যকর নয় বলে মনে করছেন বেশিরভাগ মানুষ। শিক্ষাবিষয়ক ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিচালিত এক অনলাইন জরিপে অংশ নেওয়া ৬৪ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মনে করেন, কেবল কোচিং সেন্টার বন্ধ করেই প্রশ্নফাঁস ঠেকানো সম্ভব নয়।
জরিপে অংশ নিয়েছেন মোট ২ হাজার ৪৮০ জন। এর মধ্যে ৮১৮ জন ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়ে বলেছেন, কোচিং সেন্টার বন্ধ করলে প্রশ্নফাঁস রোধ সম্ভব। বিপরীতে ১ হাজার ৫৮৮ জন ‘না’ ভোট দিয়ে একমত প্রকাশ করেছেন যে, এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট নয়। আর ৭৪ জন কোনো মন্তব্য করেননি।
জরিপে প্রশ্ন করা হয়েছিল: “কোচিং সেন্টার বন্ধ করে প্রশ্নফাঁস ঠেকানো কি সম্ভব?” — যেখানে ‘হ্যাঁ’, ‘না’ এবং ‘মন্তব্য নেই’—এই তিনটি বিকল্পে অংশগ্রহণকারীরা মত দেন। জরিপটি ২৫ জুন বিকেল থেকে ২৭ জুন সকাল পর্যন্ত দৈনিক শিক্ষাডটকমের ওয়েবসাইটে চালানো হয়।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর বোর্ড পরীক্ষার সময় ঘন ঘন প্রশ্নফাঁস ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। এসব ঘটনায় অনেক সময় কোচিং সেন্টারগুলোর সম্পৃক্ততার অভিযোগও সামনে আসে। এমন বাস্তবতায় সরকার প্রশ্নফাঁস রোধে পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বাস্তবে, এসব পদক্ষেপের পরও প্রশ্নফাঁস ও নকলের ঘটনা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।

ঘন ঘন জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কোচিং সেন্টার কেন বন্ধ রাখা হচ্ছে?
সরকার মনে করে, কোচিং সেন্টারগুলো প্রশ্নফাঁস ও গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তাই এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সময় সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কবে থেকে কবে পর্যন্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে?
২৫ জুন মধ্যরাত থেকে শুরু করে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জরিপে কী জানা গেছে?
দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিচালিত এক জরিপে অংশ নেওয়া ৬৪ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মনে করেন, শুধু কোচিং সেন্টার বন্ধ করেই প্রশ্নফাঁস ঠেকানো সম্ভব নয়।
জরিপে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কত এবং তারা কী মত দিয়েছেন?
- মোট ২,৪৮০ জন অংশ নিয়েছেন।
- ৮১৮ জন বলেছেন “হ্যাঁ”, কোচিং বন্ধ করলে প্রশ্নফাঁস রোধ সম্ভব।
- ১,৫৮৮ জন বলেছেন “না”, এটা যথেষ্ট নয়।
- ৭৪ জন কোনো মন্তব্য করেননি।
তাহলে কীভাবে প্রশ্নফাঁস ঠেকানো যেতে পারে?
অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, প্রশ্নফাঁস রোধে শুধুমাত্র কোচিং বন্ধ নয়, বরং প্রশ্ন প্রণয়ন, মুদ্রণ ও বিতরণ প্রক্রিয়ায় কঠোর নজরদারি, প্রযুক্তি ব্যবহার, সাইবার মনিটরিং এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাও জরুরি।
উপসংহার
সরকার প্রশ্নফাঁস ও গুজব প্রতিরোধে কোচিং সেন্টার বন্ধের মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও সর্বসাধারণের বড় একটি অংশ এতে আস্থা রাখতে পারছে না। দৈনিক শিক্ষাডটকমের জরিপ অনুযায়ী, ৬৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন, কেবল কোচিং সেন্টার বন্ধ করলেই প্রশ্নফাঁস ঠেকানো যাবে না। এই ফলাফল ইঙ্গিত করে যে, প্রশ্নফাঁস রোধে প্রয়োজন আরও সমন্বিত, প্রযুক্তিনির্ভর ও কাঠামোগত সংস্কারমূলক উদ্যোগ। শুধুমাত্র কোচিং সেন্টারকে লক্ষ্যবস্তু করলেই দীর্ঘমেয়াদে প্রশ্নফাঁস ও গুজবের মতো সমস্যার স্থায়ী সমাধান আসবে না—এমন মতামতই ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে।