বক্তারা হাইকোর্টের রায় অনুসারে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসরের ছয় মাসের মধ্যে তাদের অবসর ও কল্যাণ তহবানের অর্থ পরিশোধ নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।

বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরাম হাইকোর্টের রায়ের আলোকে অবসরের ছয় মাসের মধ্যে শিক্ষক ও কর্মচারিদের অবসর ও কল্যাণ তহবানের অর্থ প্রদানের জোর দাবি জানিয়েছে। শনিবার বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ মো. মাইনুদ্দীন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন মো. জহিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন উপাধ্যক্ষ মো. আবদুর রহমান। আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ ড. নজরুল ইসলাম মারুফ আল মাদানী, ড. মুহাম্মদ ঈসা শহেদী, অধ্যক্ষ মুফতি বদিউল আলম সরকার, প্রফেসর ড. হানিফ খান, অধ্যক্ষ মো. নুরুল্লাহ, অধ্যক্ষ মো. আনিসুল হক, সহকারী অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিন, মো. লুৎফর রহমান, মো. মিজানুর রহমান, উপাধ্যক্ষ এ এন এম মাহবুবুর রহমান এবং প্রভাষক এস এম আবদুল হাই ছিদ্দিকী প্রমুখ।
বক্তারা অবসর সুবিধার পাশাপাশি বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারিদের জন্য সর্বজনীন বদলি ব্যবস্থা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা এবং সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য নিরসনের দাবি জানান।
এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হেড মাওলানা ও সহকারী মৌলভী নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
বেসরকারি শিক্ষকরা কী দাবি করেছেন?
বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরাম হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে দাবি জানিয়েছে, চাকরিজীবন শেষের ছয় মাসের মধ্যে অবসর ও কল্যাণ তহবানের অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
এই দাবির পেছনে আইনগত ভিত্তি কী?
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারিদের অবসর ও কল্যাণ তহবানের অর্থ ছয় মাসের মধ্যে প্রদান করতে হবে, যা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হচ্ছে।
আর কী কী দাবি উত্থাপন করা হয়েছে এই সভায়?
সর্বজনীন বদলি ব্যবস্থা, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান, সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য নিরসন এবং ধর্ম শিক্ষকের পদ সৃষ্টির দাবিও জানানো হয়েছে।
এই দাবিগুলো কোথায় এবং কারা উত্থাপন করেছেন?
বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরাম এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এই দাবিগুলো উত্থাপন করেন।
এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে কী প্রভাব পড়তে পারে?
অবসরের পর দীর্ঘ সময় অর্থ না পাওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারিরা মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হন, ফলে পেশাগত মর্যাদা ও মানসিক স্বাস্থ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
উপসংহার
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারিদের অবসর-পরবর্তী জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবসর ও কল্যাণ তহবানের অর্থ সময়মতো প্রদান এখন সময়ের দাবি। হাইকোর্টের নির্দেশনার বাস্তবায়ন শুধু ন্যায়বিচারের প্রতিফলন নয়, বরং এটি শিক্ষকদের প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। যথাযথ নীতিমালা ও প্রশাসনিক উদ্যোগের মাধ্যমে এই দাবিগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নই পারে শিক্ষা ব্যবস্থায় ন্যায্যতা ও সম্মান ফিরিয়ে আনতে।




