জুলাইযোদ্ধাকে মারধর করে এসআই ক্লোজড

জুলাইযোদ্ধাকে মারধর করে এসআই ক্লোজড

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জনাব রেজাউল করিম জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী শনিবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে প্রাপ্ত সুপারিশের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ঘটনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জনাব রেজাউল করিম জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তদন্ত কমিটিকে আগামী শনিবারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী এসআই জসিমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

শনিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিলেট-এর মিডিয়া সেলের সম্পাদক ও যুগ্ম সদস্য সচিব ফখরুল হাসান জানান, ফজরের নামাজের পর লামাবাজার এলাকায় চায়ের দোকান খোলা রাখার কারণে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন স্থানীয় গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা ইসলাম উদ্দিন। অভিযোগে বলা হয়, নির্যাতনের সময় লামাবাজার ফাঁড়ির এসআই জসিম নেতৃত্বে ছিলেন।

সিলেট মহানগরীর লামাবাজার এলাকায় গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা ইসলাম উদ্দিনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়েছে, লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম এই ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন। ঘটনার পর এসআই জসিমকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার রেজাউল করিম জানান, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী শনিবারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘তুই যোদ্ধা! তোরা তো পুলিশ মারছিস’ — অভিযোগ এসআই জসিমের বিরুদ্ধে

শনিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিলেট-এর মিডিয়া সেলের সম্পাদক ও যুগ্ম সদস্য সচিব ফখরুল হাসান জানান, ইসলাম উদ্দিন পূর্বে সিএনজি চালালেও আন্দোলনে আহত হওয়ার পর সেই কাজ করতে অক্ষম হন এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি ছোট চায়ের দোকান চালু করেন। প্রতিদিনের মতো ফজরের নামাজের পর দোকান খুললে এসআই জসিম এসে ক্ষুব্ধ ভাষায় জানতে চান, “এতো সকালে দোকান খোলা কেন?” এরপর তিনি ইসলাম উদ্দিনকে মারধর শুরু করেন।

অভিযোগে বলা হয়, পুলিশ সদস্যরা তাকে জোর করে ভ্যানে তুলতে চাইলে ইসলাম উদ্দিন বলেন, “আমি একজন গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা। আন্দোলনে আহত হওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে পারি না, তাই দোকান চালাই। আমাকে জেলে দিলে পরিবার না খেয়ে মরবে।” উত্তরে এসআই জসিম বলেন, “তুই যোদ্ধা! তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস।” এরপর কিল-ঘুষি ও থাপ্পড় মারতে মারতে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হয়।

পরে, উপস্থিত এক কনস্টেবলের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সাময়িক নিয়ন্ত্রণে এলে পুলিশ সদস্যরা ইসলাম উদ্দিনকে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যান। বর্তমানে তিনি সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রতিক্রিয়া ও দাবি

ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিলেট জেলা কমিটি এবং মুক্তিযুদ্ধের সহযোদ্ধারা। তারা অনতিবিলম্বে অভিযুক্ত এসআই জসিম ও সংশ্লিষ্ট কনস্টেবলের গ্রেফতার এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

কাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এবং কেন?

সিলেটের লামাবাজার এলাকার গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা ইসলাম উদ্দিনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, ফজরের নামাজের পর দোকান খোলার কারণে তাকে মারধর করা হয়।

ঘটনার সময় কী ঘটেছিল?

ইসলাম উদ্দিন প্রতিবন্ধকতা নিয়ে একটি ছোট চায়ের দোকান চালান। অভিযোগে বলা হয়, এসআই জসিম দোকান খোলা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে জিজ্ঞেস করেন “এতো সকালে দোকান খোলা কেন?” এরপর কিল-ঘুষি মেরে জোর করে ভ্যানে তুলতে চেষ্টা করেন। নিজের পরিচয় দেওয়ার পরও পুলিশি নির্যাতন বন্ধ হয়নি।

এসআই জসিমের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?

অভিযোগ পাওয়ার পরপরই এসআই জসিমকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, এবং রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভবিষ্যতে কী ধরনের শাস্তি হতে পারে অভিযুক্ত কর্মকর্তার?

তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী এসআই জসিমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, যার মধ্যে চাকরিচ্যুতি, সাময়িক বরখাস্ত বা ফৌজদারি মামলা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

এই ঘটনার বিরুদ্ধে কে কী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে?

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিলেট জেলা কমিটি এবং জুলাইযোদ্ধাদের সহযোদ্ধারা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

উপসংহার

জুলাইযোদ্ধা ইসলাম উদ্দিনকে মারধরের অভিযোগ একটি স্পর্শকাতর ও উদ্বেগজনক ঘটনা, বিশেষত যিনি নিজেই দেশপ্রেমের প্রতীক হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে এমন আচরণ নৈতিক ও মানবিক দিক থেকেও প্রশ্নবিদ্ধ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আচরণ সবসময় সংবেদনশীল ও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। এই ঘটনার দ্রুত, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে জনআস্থা ক্ষুণ্ন হতে পারে। একই সঙ্গে, ঘটনাটি মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ নাগরিকদের প্রতি রাষ্ট্রের আচরণ নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলে, যার জবাব প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে দিতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top