“সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত নীতিমালা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে।”

এমপিওভুক্ত কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি এখন থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত হবে। এ সংক্রান্ত নীতিমালা শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিগগিরই জারি করবে। নীতিমালা জারির এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে পরিচালনা কমিটি পুনর্গঠনের কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশসমূহের দ্রুত বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় আলোচ্য আটটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি গঠনের বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া। সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক ‘আমাদের বার্তা’-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮টি সুপারিশের মধ্যে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য আটটি সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়, যার মধ্যে একটি ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি পুনর্গঠন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে ম্যানেজিং কমিটি গঠনসংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ভেটিং সম্পন্ন করে তা ফেরত পাঠাবে। এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ পরবর্তী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে নীতিমালাটি জারি করবে।
নীতিমালা জারির এক মাসের মধ্যে কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি পুনর্গঠন সম্পন্ন করতে হবে।
সভায় আলোচিত দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশসমূহের মধ্যে রয়েছে:
মহাসড়কের পেট্রোল পাম্পে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নিশ্চিতকরণ
সরকারি মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের ওয়েবসাইটকে অধিক কার্যকর ও ডায়নামিক করা
কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি গঠন
বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিচালনা
সরকারি সেবা কার্যক্রমে গণশুনানি ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ
তথ্য অধিকার আইনের বাস্তবায়ন জোরদার
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কাঠামোগত সংস্কার
ডিজিটাল রূপান্তর ও ই-সেবা সম্প্রসারণ
এর অংশ হিসেবে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থাগুলোর সাথে এক সপ্তাহের মধ্যে বৈঠক করে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিচালনার কৌশল নির্ধারণ করা হবে।
এছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সকল সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত বিরতিতে গণশুনানি কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করবে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি কবে এবং কীভাবে গঠিত হবে?
সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হবে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত নীতিমালা শিগগিরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হবে।
নতুন নীতিমালা জারি হলে কমিটি গঠনের সময়সীমা কী হবে?
নীতিমালা জারির এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সকল কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠন সম্পন্ন করতে হবে।
ম্যানেজিং কমিটিতে কোন ধরনের সরকারি কর্মকর্তারা থাকবেন?
মন্ত্রিপরিষদ ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন, যাতে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সমন্বয় এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত হয়।
নতুন কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য কী?
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করা, পাশাপাশি প্রশাসনিক সমন্বয় উন্নত করাই মূল উদ্দেশ্য।
নীতিমালা কখন পাবেন এবং কোথা থেকে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে?
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ দ্রুত নীতিমালা প্রণয়ন ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে। এরপর তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি ওয়েবসাইট ও বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশিত হবে।
উপসংহার
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি গঠন সরকারের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা, কার্যকারিতা এবং প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিটি শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। আসন্ন নীতিমালার দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আরও সমন্বিত ও জবাবদিহিমূলকভাবে পরিচালিত হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষের দৃষ্টিকোণ থেকে এই নীতিমালার প্রতি গুরুত্ব আরোপ এবং দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা অপরিহার্য।