ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পশ্চিম মধুখালী গ্রামে নিজ ঘর থেকে ১৫ বছর বয়সী নাসিমা আক্তার নামে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পশ্চিম মধুখালী গ্রামের নিজ ঘর থেকে নাসিমা আক্তার (১৫) নামের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতের এই ঘটনা এলাকায় শোকের ছায়া ফেলেছে।

নাসিমা আক্তার এ বছর মধুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

স্থানীয় পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

জানা গেছে, ঘটনার দিন নাসিমার বাবা মোজাম্মেল হক কাজে বরিশালে গিয়েছিলেন। দুপুরের খাবারের পর মা নাজমা বেগম পারিবারিক বিষয় নিয়ে মেয়েকে একটু বকাঝকা করেন। সন্ধ্যার আগে ছোট ছেলে ইয়াসিনকে নিয়ে পাশের বাড়িতে যাওয়ার পর কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয়। জানালার ফাঁক দিয়ে দেখে তার মেয়ে বারান্দার আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে। মা ও ভাইয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা দ্রুত এসে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল করেছে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে?

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পশ্চিম মধুখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত ছাত্রীর নাম ও বয়স কত?

নিহত ছাত্রীর নাম নাসিমা আক্তার, বয়স ১৫ বছর।

মৃতদেহ কীভাবে উদ্ধার করা হয়?

পরিবারের সদস্যরা প্রথমে দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ করেন এবং জানালার ফাঁক দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছাত্রীর লাশ দেখতে পান। এরপর প্রতিবেশীদের সাহায্যে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ছাত্রীর পরিবারের বর্ণনা কি?

ঘটনার দিন নাসিমার বাবা বরিশালে কাজে গিয়েছিলেন। মা ও ছোট ভাই পাশের বাড়িতে ছিলেন। দুপুরে মায়ের সাথে মেয়ের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বকাঝকা হয়।

কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে?

এলাকাবাসীর ধারণা, নাসিমা তার মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন।

উপসংহার

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কিশোরী ছাত্রী নাসিমা আক্তারের মর্মান্তিক মৃত্যু শুধুই একটি পারিবারিক অভিমানের পরিণতি নয়, এটি সমাজে কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ও পারিবারিক সহানুভূতির অভাবের দিকেও ইঙ্গিত করে। এ ধরনের ঘটনা আমাদের আবারও মনে করিয়ে দেয়, কিশোর বয়সে আবেগগত ভারসাম্য রক্ষা, সহানুভূতিশীল পারিবারিক পরিবেশ এবং সচেতনতা কতটা প্রয়োজন। এমন দুঃখজনক পরিণতি এড়াতে পরিবার, বিদ্যালয় ও সমাজের সকলের সমন্বিত দায়িত্বশীল ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top