‘কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা’ বইয়ের মেধাসত্ত্ব সনদ পেলেন লেখক সিদ্দিকুর রহমান খান
দীর্ঘদিন শিক্ষা ও সংসদ সাংবাদিকতায় যুক্ত অনুসন্ধানী সাংবাদিক সিদ্দিকুর রহমান খান তার গ্রন্থ ‘কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা’ এর জন্য মেধাসত্ত্ব সনদ লাভ করেছেন। হালনাগাদ এক্সক্লুসিভ তথ্য, গভীর অনুসন্ধান ও দুর্লভ গোপন নথি সংযোজনের মাধ্যমে বইটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে উঠেছে। কওমি মাদরাসা নিয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য খুঁজে পাওয়া পাঠকদের জন্য এটি হতে পারে এক অনন্য উৎস।

দীর্ঘদিন শিক্ষা ও সংসদ বিষয়ক সাংবাদিকতায় যুক্ত বিশিষ্ট অনুসন্ধানী সাংবাদিক সিদ্দিকুর রহমান খান তাঁর প্রবন্ধগ্রন্থ ‘কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা’–এর জন্য মেধাসত্ত্ব সনদ লাভ করেছেন। বইটিতে তিনি তার সাংবাদিক জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের গভীর অনুসন্ধানভিত্তিক প্রতিবেদন, হালনাগাদ এক্সক্লুসিভ তথ্য এবং অত্যন্ত দুর্লভ ও গোপনীয় নথি সংযুক্ত করেছেন।
এই বই কওমি মাদরাসা বিষয়ে একটি নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। বিশেষ করে যারা কওমি শিক্ষা ব্যবস্থার বাস্তব চিত্র, ইতিহাস ও নীতিগত দিক নিয়ে গভীরভাবে জানতে চান, তাদের জন্য বইটি একটি প্রামাণ্য ও সময়োপযোগী দলিল হয়ে উঠেছে।
বইটি প্রকাশের মাধ্যমে পাঠকসমাজ এক নতুন তথ্যভাণ্ডারের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, যা এ পর্যন্ত প্রকাশিত কওমি-সম্পর্কিত অন্যান্য বইয়ের তুলনায় ব্যতিক্রম এবং গভীরতর
সাংবাদিক ও লেখক সিদ্দিকুর রহমান খান রচিত ‘কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা’ বইটি কওমি শিক্ষাব্যবস্থা ঘিরে দীর্ঘদিনের প্রশ্ন, গোপন নথি এবং রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের এক গভীর অনুসন্ধানী প্রতিচিত্র। লেখক তার দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনের অভিজ্ঞতা ও অনুসন্ধান একত্র করে তুলে এনেছেন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী গবেষণাগ্রন্থ, যার জন্য তিনি পেয়েছেন মেধাসত্ত্ব সনদ।
বইটিতে স্থান পেয়েছে সরকার-নিয়ন্ত্রিত আলিয়া মাদরাসার সনদের স্বীকৃতি ও সমমান সংক্রান্ত ঐতিহাসিক তথ্য, যা দীর্ঘদিন পাঠক ও গবেষকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। ফ্ল্যাপে লেখা রয়েছে, “একগুচ্ছ শঙ্কা ও প্রশ্ন গোয়েন্দা রিপোর্ট জুড়ে”, যা বইটির অন্তর্নিহিত স্পর্শকাতর তথ্য ও দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত দেয়।
এ গ্রন্থে এমনকি উইকিলিকসের তারবার্তাও উহ্য থাকেনি। রাষ্ট্রীয় উত্থানপর্ব, সংসদীয় বিতর্ক, শিক্ষানীতির খসড়া, এমনকি সেক্যুলার শব্দের বাদ পড়ার ঘটনাও এসেছে আলোচনায়। কওমি ধারার অর্থায়নের উৎস, উসকানির অভিযোগ, এবং মৌলিক সংরক্ষণবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কের প্রশ্নগুলোকে খোলা চোখে অনুসন্ধান করেছেন লেখক।
খালেদা জিয়া, ইয়াজউদ্দিন, ফখরুদ্দীন ও শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কওমি মাদরাসা নিয়ে কী ঘটেছিল—তার নিরপেক্ষ তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ এই বইকে করেছে প্রামাণ্য ও দৃষ্টিসম্পন্ন।
লেখক সিদ্দিকুর রহমান খানের সৃজনশীলতার সূচনা জীবনানন্দ দাশের জন্মভূমি বরিশালের নলছিটির সুগন্ধা নদীর পাড়ে। ১৯৯১ সালে একটি স্নিগ্ধ হাওয়ায় যাত্রা শুরু করে আজ তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা ও সংসদ সাংবাদিকতার এক পরিচিত নাম।
এই বইটি শুধু কওমি মাদরাসা নিয়ে আগ্রহীদের জন্য নয়, বরং যারা রাষ্ট্র, রাজনীতি ও শিক্ষা নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ খুঁজছেন, তাদের সবার জন্যই এক মূল্যবান পাঠ্য।
সিদ্দিকুর রহমান খান—শিক্ষা ও সংসদ সাংবাদিকতায় দীর্ঘ পথচলার একজন সুপরিচিত নাম। জীবনানন্দ দাশের নলছিটি থেকে যাত্রা শুরু করে তার কলম ধীরে ধীরে এগিয়েছে অভিজ্ঞতার অম্ল-মধুরতায়। লিখনযাত্রার শুরু থেকেই জীবিকার মাধ্যম ছিল ইংরেজি সাংবাদিকতা, যার রূপরেখা আঁকা হয়েছিল দৈনিক নিউ এইজ, দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট ও বাংলাদেশ টুডে-র পাতায়।
শিক্ষা রিপোর্টিংয়ে অবদানের জন্য তিনি একাধিকবার ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতির সৌজন্যে’ বর্ষসেরা রিপোর্টার হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। সাংবাদিক হিসেবে আরও বহু স্বীকৃতি ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি।
বাংলা ভাষায় গণপাঠকের কাছে শিক্ষার নানা জটিলতা ও বিশ্লেষণ সহজভাবে পৌঁছে দিতে তিনি কলম ধরেছেন দৈনিক ইত্তেফাক, প্রথম আলো, যুগান্তর, সমকাল, মানবজমিন, সকালের খবরসহ নানা জাতীয় দৈনিকে। পাশাপাশি, তিনি নিজেই প্রতিষ্ঠা করেন দৈনিক শিক্ষাডটকম, দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল শিক্ষা সংবাদপত্র।
বর্তমানে তিনি দৈনিক আমাদের বার্তা– দেশের একমাত্র শিক্ষা বিষয়ক প্রিন্ট দৈনিক –এর প্রধান সম্পাদক, এবং দৈনিক শিক্ষাডটকম–এর সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তার লেখা গ্রন্থ ‘কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা’ প্রকাশিত হয়েছে প্রকাশনাডটকম থেকে। বইটি পাওয়া যাচ্ছে দৈনিক আমাদের বার্তার অফিসে (ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, লেভেল–৫), রকমারি.কম এবং বাতিঘর বই বিক্রয় কেন্দ্রে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
‘কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা’ গ্রন্থের লেখক কে?
বইটির লেখক হলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও শিক্ষা বিশ্লেষক সিদ্দিকুর রহমান খান, যিনি দীর্ঘদিন শিক্ষা ও সংসদ বিষয়ক সাংবাদিকতায় যুক্ত।
লেখক কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কপিরাইট সনদ পেয়েছেন?
লেখক বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস থেকে এই গ্রন্থের জন্য মেধাসত্ত্ব (কপিরাইট) সনদ লাভ করেছেন।
বইটির মূল বিষয়বস্তু কী নিয়ে?
বইটিতে কওমি মাদরাসা ব্যবস্থার ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থায়ন, নীতিগত প্রশ্ন, গোপন নথি, উইকিলিকস বার্তা, এবং আলিয়া মাদরাসার সনদের স্বীকৃতি সম্পর্কিত বিস্তৃত অনুসন্ধান রয়েছে। এটি একটি তথ্যসমৃদ্ধ ও প্রামাণ্য প্রকাশনা।
কোথায় পাওয়া যাবে বইটি?
বইটি পাওয়া যাচ্ছে দৈনিক আমাদের বার্তার অফিসে (ঢাকা ট্রেড সেন্টার, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ), রকমারি.কম এবং বাতিঘর বই বিপণিতে।
সিদ্দিকুর রহমান খানের সাংবাদিকতা বা প্রকাশনায় অন্য কী অবদান রয়েছে?
তিনি দৈনিক আমাদের বার্তা–র প্রধান সম্পাদক ও দৈনিক শিক্ষাডটকম–এর সম্পাদক ও প্রকাশক। ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষায় শিক্ষা সাংবাদিকতায় তার রয়েছে তিন দশকের অভিজ্ঞতা ও বহু রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।
উপসংহার
‘কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা’ কেবল একটি বই নয়, বরং কওমি শিক্ষাব্যবস্থাকে ঘিরে দীর্ঘদিনের প্রশ্ন, রহস্য এবং বিতর্কের এক অনুসন্ধানভিত্তিক দলিল। লেখক সিদ্দিকুর রহমান খান তাঁর দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনের অভিজ্ঞতা, গভীর পর্যবেক্ষণ ও দুর্লভ তথ্যের সমন্বয়ে বইটিকে রূপ দিয়েছেন একটি প্রামাণ্য ঐতিহাসিক ও বিশ্লেষণধর্মী সম্পদে। কপিরাইট সনদ প্রাপ্তির মাধ্যমে বইটির প্রামাণ্যতা আরও সুদৃঢ় হলো। যারা কওমি শিক্ষা, নীতি-নির্ধারণ ও রাষ্ট্রীয় রাজনীতির সংযোগ খুঁজছেন, তাদের জন্য এ বই নিঃসন্দেহে এক গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।