মাদরাসায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

মাদরাসায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

“মাদরাসায় অভিভাবক সমাবেশ চলাকালীন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শিহাব মঞ্চে উঠে মাইক্রোফোনটি দখল করে সভা বিঘ্ন করার চেষ্টা করেন। তাঁর দাবি ছিল, স্থানীয়দের অনুমতি ছাড়া এ সভার আয়োজন করা হয়েছে।”

নাটোরের বড়াইগ্রামের মাঝগ্রাম ইউনিয়নের তিরাইল ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় অভিভাবক সমাবেশ চলাকালে চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন মাঝগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শিহাবুল ইসলাম শিপন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম, কর্মী হৃদয় আহমেদ, ইয়ামিন হোসেন, ফিরোজ হোসেন, শাকিল আহমেদ এবং ইয়াসিন আরাফাত আকিব।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সাইদুল ইসলাম জানান, সমাবেশ চলাকালীন শিহাব মঞ্চে উঠে মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে সভা বন্ধ করার চেষ্টা করেন। তার অভিযোগ ছিল, স্থানীয়দের অনুমতি ছাড়া সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত জনতা এর প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সংঘর্ষ শুরু হয়।

সাইদুল ইসলামের আরও অভিযোগ, শিহাব বেশ কিছুদিন ধরে মাদরাসার নবনিযুক্ত সুপার আবুল হোসেন সাঈদীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন।

এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনীয় তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।

নাটোরের বড়াইগ্রামের মাঝগ্রাম ইউনিয়নের তিরাইল ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় অভিভাবক সমাবেশকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শিহাবুল ইসলাম শিপন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম, ছাত্রদল কর্মী হৃদয় আহমেদ, ইয়ামিন হোসেন, ফিরোজ হোসেন, শাকিল আহমেদ ও ইয়াসিন আরাফাত আকিব।

ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে সাইদুল ইসলাম বলেন, মাদরাসায় অভিভাবক সমাবেশ চলাকালে শিহাব মঞ্চে উঠে মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে সভা পণ্ড করার চেষ্টা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয়দের অনুমতি ছাড়া সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত জনতার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি শিহাব মাদরাসার সুপার আবুল হোসেন সাঈদীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন, এবং চাঁদা না দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটান।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শিহাবুল ইসলাম শিপন বলেন, “সুপার আবুল হোসেন সাঈদীকে ২৮ বছর আগে অনিয়মের অভিযোগে মাদরাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সম্প্রতি তিনি গোপনে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে শুরু করেন এবং বৃহস্পতিবার কোনো অনুমতি ছাড়াই একটি মিটিং আয়োজন করেন। এতে আমরা আপত্তি জানাই মাত্র।”

এ প্রসঙ্গে সুপার আবুল হোসেন সাঈদী জানান, “২৮ বছর ধরে মামলা চালানোর পর আদালতের রায়ে আমার পক্ষে রায় হয়। সেই মোতাবেক আমি গত বছরের নভেম্বরে পুনরায় মাদরাসায় যোগদান করি। কিন্তু যোগদানের পর থেকেই ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। আমি চাঁদা না দেওয়ায় তারা সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটায়।”

ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি বলেন, “আমি সমাবেশে যোগদানের জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। পরে প্রশাসনের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।”

এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।

নতুন ভিডিও মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তা ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল আইকনে ক্লিক করতে ভুলবেন না।
বেল আইকন চাপলে আপনার স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে আমাদের প্রতিটি নতুন ভিডিওর নোটিফিকেশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে পৌঁছে যাবে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

সংঘর্ষটি কোথায় এবং কবে ঘটেছে?

উত্তর: নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগ্রাম ইউনিয়নের তিরাইল ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায়, বৃহস্পতিবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য হলে যুক্ত করুন) দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের মূল কারণ কী ছিল?

উত্তর: সংঘর্ষের কারণ ছিল মাদরাসা সুপারের যোগদানকে কেন্দ্র করে চাঁদা দাবি ও একটি অভিভাবক সমাবেশে বিরোধ। ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে এই নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়, যা পরবর্তীতে সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এই ঘটনায় কতজন আহত হয়েছেন?

উত্তর: সংঘর্ষে অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

সংঘর্ষে জড়িত দুই পক্ষ কী বলছে?

এক পক্ষের দাবি: ছাত্রদল সভাপতি শিহাবুল ইসলাম মাদরাসা সুপার আবুল হোসেন সাঈদীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন, যা না পাওয়ায় তিনি অভিভাবক সমাবেশ পণ্ড করার চেষ্টা করেন।
অপর পক্ষের দাবি: শিহাবুল ইসলাম দাবি করেন, সুপারকে ২৮ বছর আগে অনিয়মের কারণে বহিষ্কার করা হয়েছিল এবং তিনি এখন গোপনে কাগজপত্রে স্বাক্ষর দিচ্ছেন ও অনুমতি ছাড়া সভা আয়োজন করেছেন।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?

উত্তর: ঘটনার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস现场ে উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপসংহার

তিরাইল ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় সংঘটিত এই সংঘর্ষ কেবল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, এটি স্থানীয় রাজনীতি ও শিক্ষাপ্রবাহে হস্তক্ষেপেরও একটি প্রতিচ্ছবি। শিক্ষাঙ্গনকে রাজনৈতিক বিরোধ ও স্বার্থের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা কখনোই কাম্য নয়। এ ধরনের ঘটনা শিক্ষার পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। প্রশাসন দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে—এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। পাশাপাশি, সকল পক্ষেরই উচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অরাজনৈতিক ও নিরাপদ রাখার দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top