এই সভায় উক্ত শিক্ষকের নিবন্ধন সনদটি জাল/ভুয়া বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও সদরের মাদারগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আল মামুনের জাল নিবন্ধন সনদ ধরা পড়ায় তার এমপিও বাতিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে গত ২২ জানুয়ারি ২০২৫ একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি ইস্যু করা হয়।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও বাস্তবায়ন কমিটির ৩০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচনার ভিত্তিতে মো. আল মামুনের নিবন্ধন সনদটি জাল/ভুয়া বলে প্রতীয়মান হয়।
এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা শাখা প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করে। সেই প্রেক্ষিতে তার এমপিও বাতিল করা হয়।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
কোন শিক্ষককে এমপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে?
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মাদারগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আল মামুন।
তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে?
তার নিবন্ধন সনদ জাল/ভুয়া ছিল বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে প্রতীয়মান হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত কবে নেওয়া হয়?
২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৩০তম সভায় বিষয়টি আলোচিত হয় এবং ২০২৫ সালের ২২ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি ইস্যু করা হয়।
তদন্ত কোন সূত্রে করা হয়?
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও বাস্তবায়ন কমিটির সুপারিশে এবং অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা শাখার পর্যালোচনায়।
ভবিষ্যতে এমন ঘটনার প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
এ ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধে নিবন্ধন যাচাইয়ের প্রক্রিয়া আরও কঠোর ও ডিজিটাল করার সুপারিশ রয়েছে।
উপসংহার
একজন শিক্ষকের জাল নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে এমপিওভুক্ত হওয়ার ঘটনা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় অনৈতিকতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতির এক বাস্তব উদাহরণ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যথাযথ পদক্ষেপ এই বার্তা দেয় যে, কোনো অনিয়মই স্থায়ীভাবে ঢাকা যাবে না। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে নিবন্ধন যাচাই ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা ও কঠোরতা নিশ্চিত করা জরুরি। শিক্ষার মান রক্ষা করতে হলে শিক্ষকতার মতো দায়িত্বশীল পেশায় নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অসাধুতা বরদাশতযোগ্য নয়।




