শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির স্বামী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর সেবার প্রয়োজনে মন্ত্রীকে হাসপাতালে অবস্থান করতে হচ্ছে।

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে আটক সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির প্যারোলে মুক্তি চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) এ বিষয়ে শুনানির জন্য আদালতে আবেদন উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল সূত্র। জানা গেছে, ডা. দীপু মনির স্বামী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর সেবার প্রয়োজনে মন্ত্রীর পক্ষে প্যারোলে মুক্তি চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ আগস্ট রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে ডা. দীপু মনিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গত ১ আগস্ট সন্ধ্যা ৮টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনিকে গ্রেফতারের তথ্য জানায়। ডিএমপির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, দীপু মনিকে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে এবং তাকে মোহাম্মদপুর থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
দীপু মনি, যিনি এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্র ও শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে পরিচিত।
উল্লেখ্য, ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা আত্মগোপনে চলে যান। আত্মগোপনে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ব্যক্তিরাও রয়েছেন। এদের মধ্যে কিছু মানুষ ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
দীপু মনি কেন গ্রেফতার হয়েছেন?
দীপু মনিকে মোহাম্মদপুর থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাকে ১ আগস্ট সন্ধ্যায় বারিধারা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিএমপি।
প্যারোলে মুক্তির আবেদন কেন করা হয়েছে?
তার স্বামী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর সেবায় পাশে থাকার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করা হয়েছে।
এই আবেদন কোথায় করা হয়েছে এবং কবে শুনানি?
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হয়েছে এবং শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ৩০ এপ্রিল, বুধবার।
বর্তমানে দীপু মনি কোথায় আছেন?
গ্রেফতারের পর তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।
দীপু মনির রাজনৈতিক পরিচয় কী?
দীপু মনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি অতীতে পররাষ্ট্র ও শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
উপসংহার
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ও তার গ্রেফতার দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মানবিক কারণ দেখিয়ে প্যারোলে মুক্তির আবেদনের বিষয়টি আদালতের বিবেচনায় রয়েছে। এখন দৃষ্টি রাখা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত ও পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার দিকে, যা দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।





2 thoughts on “প্যারোলে মুক্তি চেয়ে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির আবেদন”
Very good https://is.gd/N1ikS2
Thanku