“অভিযানকালে সেখানে একটি নকল বোর্ড বই উৎপাদনকারী কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়।”

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় একটি নকল বোর্ড বই ছাপানোর প্রেসে অভিযান চালিয়ে সেটি সিলগালা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের নলবাতা এলাকায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর তথ্যের ভিত্তিতে একটি যৌথ বাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে বিপুল পরিমাণ সাধারণ ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নকল পাঠ্যপুস্তক উদ্ধার করা হয়। অভিযান শেষে নকল বই ছাপানোর প্রেসটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের নলবাতা বাজার এলাকায় নকল বোর্ড বই তৈরির একটি গোপন কারখানায় অভিযান চালিয়ে সেটি সিলগালা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী সরদারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে ‘ক্ষণিকালয়’ নামে একটি বাড়িতে গোপনে পরিচালিত ছাপাখানায় বিপুল পরিমাণ সাধারণ ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নকল পাঠ্যবই মজুদ অবস্থায় পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত বইগুলো বর্তমানে সংরক্ষণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জানান, অভিযানে কারখানার কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কেউ। প্রেসটির মালিক আব্দুল হালিমকে অভিযানস্থলে পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান, বৈধ কাগজপত্র উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হলে মালিকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযান শেষে কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
কোথায় অভিযানটি পরিচালিত হয়েছিল?
অভিযানটি নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের নলবাতা বাজার এলাকায় অবস্থিত একটি বাড়িতে পরিচালিত হয়, যেখানে একটি গোপন ছাপাখানায় নকল বোর্ড বই ছাপানো হচ্ছিল।
এই অভিযানের নেতৃত্বে কারা ছিলেন?
অভিযানের নেতৃত্ব দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী সরদার। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (NSI)-এর তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে কী ধরনের বই উদ্ধার করা হয়েছে?
অভিযানে বিপুল পরিমাণ সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নকল পাঠ্যপুস্তক উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলোর সংরক্ষণ প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান।
প্রেসের মালিক বা সংশ্লিষ্ট কাউকে আটক করা হয়েছে কি?
না, অভিযানের সময় প্রেসের মালিক আব্দুল হালিম উপস্থিত ছিলেন না এবং কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
কারখানার বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
ছাপাখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে এবং বৈধ কাগজপত্র না থাকায় মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
উপসংহার
নকল বই ছাপানোর মতো অপরাধ শুধু শিক্ষাব্যবস্থাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ও নৈতিক মানদণ্ডের উপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। নাটোরের সিংড়ায় যৌথ বাহিনীর এ ধরনের উদ্যোগ সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়—আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেউ অপরাধ করে পার পাবে না। প্রশাসনের এমন তৎপরতা নকল বই উৎপাদন ও বিপণনের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পথ সুগম করবে। শিক্ষা খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এ ধরনের অভিযান ও আইনি পদক্ষেপ অব্যাহত রাখা জরুরি।