আপনি চাইলে আরো আনুষ্ঠানিক বা সাংবাদিকতামূলক রূপেও চাইতে পারেন — জানিয়ে দিন কোন প্রেক্ষাপটে লাগবে।

আজ, ১২ এপ্রিল, বিকেল ৩টা থেকে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত হচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশের হাতেই ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা ও নানা স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড।
আপনি চাইলে এটি আরও সংবাদমূলক, বর্ণনামূলক বা আবেগনির্ভরভাবে সাজিয়ে নিতে পারেন। কোন ধরনের টোন বা পাঠককে লক্ষ্য করে এটি লেখা হচ্ছে—সেই তথ্য দিলে আমি আরও নির্দিষ্টভাবে সাহায্য করতে পারব।
আয়োজকদের মতে, নিরীহ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানানো এবং বিশ্বজনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। তাদের দাবি, সারা দেশ থেকে কয়েক লাখ মানুষ এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে র্যালি শুরু হয়ে শেষ হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। র্যালি শেষে আয়োজিত সমাবেশে একই মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। এরইমধ্যে সমাবেশস্থলে নির্মাণ করা হয়েছে একটি বিশাল মঞ্চ এবং নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আয়োজকরা দিয়েছেন নানা দিকনির্দেশনা। এর অংশ হিসেবে গত শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভাস্থল পরিদর্শন করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসা গণজমায়েতের অংশগ্রহণকারীদের জন্য আয়োজক পক্ষ থেকে দুটি বিশেষ নির্দেশনা এবং চারটি সাধারণ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিশেষ নির্দেশনা দুটি হলো:
শনিবার টিএসসি মেট্রোস্টেশন বন্ধ থাকবে।
পরীক্ষার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন রাখতে তাদের জন্য রাস্তা বিশেষভাবে উন্মুক্ত রাখা হবে।
চারটি সাধারণ দিকনির্দেশনা হলো:
অংশগ্রহণকারীদের নিজ দায়িত্বে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সামগ্রী (যেমন—পানির বোতল, ছাতা, মাস্ক) সঙ্গে রাখার অনুরোধ করা হয়েছে এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড বহনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা ব্যবহারের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।
দুষ্কৃতিকারীদের যেকোনো অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং প্রয়োজনে প্রতিরোধ গঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য কী?
এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদ জানানো এবং বিশ্ববাসীর কাছে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা। আয়োজকরা আশা করছেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ সম্ভব হবে।
কর্মসূচিটি কখন এবং কোথায় শুরু হয়েছে?
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির মূল আয়োজন ১২ এপ্রিল বিকেল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তসহ সারা দেশ থেকে মানুষ সেখানে জড়ো হতে শুরু করেন।
র্যালি ও সমাবেশে কারা অংশ নিয়েছেন?
র্যালি ও সমাবেশে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিয়েছেন। র্যালি শেষে একই মঞ্চে বিভিন্ন অঙ্গনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
কী কী নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা নেওয়া হয়েছে?
সমাবেশস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশাল মঞ্চ নির্মাণ, ভিড় নিয়ন্ত্রণ, জরুরি সহায়তা ও পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ছাড়া টিএসসি মেট্রোস্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে এবং পরীক্ষার্থীদের চলাচলে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে কী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে?
আয়োজকরা অংশগ্রহণকারীদের জন্য চারটি সাধারণ ও দুটি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত প্রস্তুতি নেওয়া, রাজনৈতিক প্রতীক এড়িয়ে চলা, বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহন, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহত করার আহ্বান।
উপসংহার
গাজায় চলমান ইসরায়েলি নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পরিণত হয়েছে জনসমুদ্রে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা হাজারো মানুষের অংশগ্রহণ এই প্রতিবাদকে দিয়েছে ব্যতিক্রমী মাত্রা। শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাপূর্ণ এই গণজমায়েত বিশ্ববাসীর প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। আয়োজকদের নির্দেশনা মেনে সচেতন উপস্থিতি এবং ঐক্যবদ্ধ অবস্থান এই কর্মসূচিকে করেছে আরও তাৎপর্যময় ও শক্তিশালী।




