মিয়ানমারে শুক্রবার ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের তীব্র আঘাতের পর, কিছু ঘণ্টার মধ্যে কমপক্ষে ১৪টি আফটারশক অনুভূত হয়েছে।

মিয়ানমারে শুক্রবার ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের তীব্র আঘাতের পর, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কমপক্ষে ১৪টি আফটারশক অনুভূত হয়েছে।
এই তথ্যটি যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) থেকে পাওয়া গেছে, যা মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন বরাত দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, স্থানীয় সময় দুপুরের পর বড় ভূমিকম্পের আঘাতের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বেশিরভাগ আফটারশক অনুভূত হয়। এই আফটারশকগুলোর অধিকাংশের মাত্রা ছিল ৩ থেকে ৫-এর মধ্যে, তবে সবচেয়ে শক্তিশালী আফটারশকটির মাত্রা ছিল ৬.৭। বড় ভূমিকম্পের মাত্র ১০ মিনিট পর এই পরাঘাত অনুভূত হয়।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এছাড়া, ভূমিকম্পের ফলে যে আর্থিক, পরিবেশগত এবং সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার আর্থিক মূল্য ১ হাজার কোটি ডলার ছাড়াতে পারে।
এদিকে, ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ৫৬ মিনিটে ৪.২ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, এটি পরাঘাতের অংশ ছিল।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, গত শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় শহর মান্দালয়ের কাছে ৭.৭ তীব্রতার ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রায় ১১ মিনিট পর, ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পন অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পের তীব্রতা কত ছিল?
মিয়ানমারে শুক্রবার ৭.৭ তীব্রতার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
ইউএসজিএস কী বলেছে?
ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে এবং ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক মূল্য ১ হাজার কোটি ডলার ছাড়াতে পারে।
কতটি আফটারশক অনুভূত হয়েছে?
ভূমিকম্পের পর, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কমপক্ষে ১৪টি আফটারশক অনুভূত হয়েছে।
ভারতের ভূতাত্ত্বিক সংস্থা কী জানিয়েছে?
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ১১টা ৫৬ মিনিটে ৪.২ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়, যা পরাঘাতের অংশ ছিল।
ভূমিকম্পের কেন্দ্র কোথায় ছিল?
৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় শহর মান্দালয়ের কাছাকাছি আঘাত হানে।
উপসংহার
মিয়ানমারে শুক্রবারের ৭.৭ তীব্রতার ভূমিকম্পটি অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক ছিল, যার কারণে বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি এবং মৃত্যুর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াতে পারে এবং আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার কোটি ডলার হতে পারে। ভূমিকম্পের পরবর্তী সময়েও আফটারশকগুলো পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে, এবং এর মধ্যে ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি আরও একটি আফটারশক নিশ্চিত করেছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র মিয়ানমারের মান্দালয়ের কাছাকাছি ছিল, যা এই অঞ্চলের জন্য এক বিশাল বিপর্যয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।




