শিক্ষকরা দাবি করেছেন যে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বাড়িভাড়া, মেডিক্যাল ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদান এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরবেন না।

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাতীয়করণ, শতভাগ উৎসব ভাতা, এবং সরকারি কর্মচারীদের সমপর্যায়ে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা পদযাত্রা শুরু করেছেন। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন।
এর আগে, সোমবার প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরুর চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। বাধার সম্মুখীন হয়ে শিক্ষকরা পুনরায় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের যুগ্ম সদস্য সচিব আবুল বাসার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, “গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। এর মধ্যে যমুনা অভিমুখে ও সচিবালয় অভিমুখী পদযাত্রার সময় পুলিশ আমাদের বাধা দিয়েছে। দুই দিন ধরে আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছি, কিন্তু এখনো সরকারের পক্ষ থেকে শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদানের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ঘোষণা পাইনি।
শতভাগ উৎসব ভাতা না দেওয়া হলে আমরা প্রেস ক্লাব থেকে সরবো না। প্রয়োজনে যমুনায় ঈদের নামাজ আদায় করব এবং আগামী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিতে পারি।”
শিক্ষকরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বাড়িভাড়া, মেডিক্যাল ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদান এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। তারা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছেন যে, প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরবেন না।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট ঘোষিত এই কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষকরা অংশ নিয়েছেন এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন।
সংগঠনের সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজীজী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, “আমরা আশ্বাসে বিশ্বাসী নই। সরকারকে আন্দোলনস্থলে এসে স্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে যে, আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। অন্যথায় শিক্ষকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।”
শিক্ষকরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তারা প্রেস ক্লাব ছেড়ে যাবেন না। তারা সরকারকে দ্রুত দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সব এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
শিক্ষকরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তারা প্রেস ক্লাব ছেড়ে যাবেন না। তারা সরকারকে দ্রুত দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সব এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
এর আগে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষকদের শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দেয়। পরে, আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আলোচনা করতে সচিবালয়ে যায়। তবে বৈঠকে আশ্বাস পেলেও এখনো কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা আসেনি। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরবেন না।
শিক্ষকদের এই পদযাত্রার মূল দাবি কী?
শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাতীয়করণ, শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি কর্মচারীদের মতো সমহারে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদানসহ পূর্ণ সরকারি সুযোগ-সুবিধা চান।
কখন থেকে এই আন্দোলন চলছে?
শিক্ষকরা গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে তারা পদযাত্রা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।
আন্দোলন চলাকালে কী ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন শিক্ষকরা?
এর আগে, শিক্ষকদের যমুনা ও সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দিয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রার সময়ও পুলিশ বাধা দেয়।
সরকার এ পর্যন্ত কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেছে। যদিও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তবে এখনো কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা আসেনি।
শিক্ষকরা পরবর্তী কী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন?
তারা জানিয়েছেন, দাবি মেনে নেওয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত প্রেস ক্লাব ত্যাগ করবেন না। প্রয়োজনে পরিবারসহ অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বর্জনের মতো কঠোর কর্মসূচি নিতে পারেন।
উপসংহার
জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। সরকার আশ্বাস দিলেও এখনো কোনো সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত না আসায় শিক্ষকরা তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। তাই শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি নিয়ে দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা জরুরি, যাতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কোনো অনিশ্চয়তার মুখে না পড়ে।




