শিক্ষক নিবন্ধনে সহকারী মৌলভী পদে ভাইভা বোর্ড সাধারণত নিম্নলিখিত বিষয়গুলো জানতে চেয়ে প্রশ্ন করে থাকে:
ইসলামী শিক্ষা ও মৌলিক ধারণা:
নামাজ, রোজা, হজ, যাকাতের ফরজ ও গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা-মাসায়েল।
কুরআন, হাদিস ও ফিকহ সম্পর্কিত প্রশ্ন।
ইসলামিক ইতিহাস ও সাহাবীদের জীবন।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা:
শিক্ষা নীতিমালা ও ধর্মীয় শিক্ষার ভূমিকা।
পাঠ্যবই সম্পর্কিত প্রশ্ন।
নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ:
চরিত্র গঠন, নৈতিকতা ও সমাজে ধর্মীয় শিক্ষার প্রভাব।
সামাজিক ও সমসাময়িক বিষয়:
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা ও সমাধান।
ইসলামে শান্তি, সহনশীলতা ও সহাবস্থানের গুরুত্ব।
ব্যক্তিগত প্রশ্ন:
আত্মবিশ্বাস ও চিন্তা-ভাবনা যাচাইয়ের জন্য ব্যক্তিগত ও পেশাগত উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন।
শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রস্তুতি।
এই ধরনের প্রস্তুতি ভাইভায় সফলতার জন্য সহায়ক হতে পারে

ব্যক্তিগত পরিচিতি:
নিজের নাম, ঠিকানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন।
ধর্মীয় শিক্ষার পেছনে আপনার আগ্রহ এবং অনুপ্রেরণা কীভাবে তৈরি হলো।
ইসলামী শিক্ষা ও মৌলিক ধারণা:
পবিত্র কোরআন ও হাদিস সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন।
নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত ইত্যাদি ইসলামী বিধানের বিস্তারিত আলোচনা।
ইসলামী আইন ও ফিকহ সংক্রান্ত সাধারণ ধারণা।
শিক্ষাদান পদ্ধতি:
আপনি কীভাবে একটি শ্রেণিকক্ষে ইসলামী শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় পড়াবেন।
শিক্ষার্থীদের ইসলামী মূল্যবোধ শেখানোর পদ্ধতি।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা এবং চরিত্র গঠনে আপনার ভূমিকা।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়:
সাম্প্রতিক ধর্মীয় ও সামাজিক ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন।
ইসলামী শিক্ষার আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য।
নৈতিকতা ও আচরণ:
একজন শিক্ষক হিসেবে আপনার নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি কী।
সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আচরণ কেমন হওয়া উচিত।
ভাইভা প্রস্তুতির জন্য এই বিষয়গুলো ভালোভাবে চর্চা করলে আপনি আত্মবিশ্বাসী হতে পারবেন।
উপসংহার
সহকারী মৌলভী পদে ভাইভা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যেখানে প্রার্থীর ধর্মীয় জ্ঞান, নৈতিক মূল্যবোধ, শিক্ষাদান দক্ষতা এবং ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন করা হয়। সফলতার জন্য কেবল ধর্মীয় শিক্ষায় পাণ্ডিত্য অর্জন করাই যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন আত্মবিশ্বাসী উপস্থাপনা, নম্র আচরণ এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব। সঠিক প্রস্তুতি ও মানসিক দৃঢ়তা নিয়ে ভাইভায় অংশগ্রহণ করলে সাফল্যের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। আপনার লক্ষ্য যদি ইসলামী শিক্ষা ও মূল্যবোধের সঠিক চর্চা ও প্রচার হয়, তবে এই ভাইভা কেবল একটি পরীক্ষা নয়, বরং একটি দায়িত্ব গ্রহণের অঙ্গীকার।





