পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের দায়বদ্ধতা বেড়েছে: ইউজিসি চেয়ারম্যান

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের দায়বদ্ধতা বেড়েছে: ইউজিসি চেয়ারম্যান

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের সমাজব্যবস্থার প্রতি শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, যারা পরিবর্তনের সক্ষমতা রাখেন, তারা সমাজ গড়ার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে গ্রিন ইউনিভার্সিটির পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, সমাজকে ইতিবাচক পথে চালিত করা, ঘুণেধরা কাঠামোকে পুনর্গঠন করা এবং ন্যায়ভিত্তিক ও সুষম সমাজ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এ লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে যেসব সম্ভাবনা বিকশিত হতে পারেনি, সেগুলো বিকশিত করার কোনো বিকল্প নেই। যে পথগুলো এতদিন রুদ্ধ ছিল, সেগুলো অবশ্যই উন্মুক্ত করতে হবে এবং নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলতে হবে

এ সময় ইউজিসি চেয়ারম্যান গ্রাজুয়েটদের প্রতি প্রযুক্তি ও মানবিকতার সমন্বয়ে দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও সৃজনশীলতাকে জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে কাজে লাগানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ইলিনয়স স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিসটিংগুইশড প্রফেসর ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আমন্ত্রিত অতিথি এবং অভিভাবকেরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোট ৪,১২৯ জন গ্রাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে পাঁচজনকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল এবং ১০ জনকে ভাইস-চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়, যা তাদের একাডেমিক উৎকর্ষ ও কৃতিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।

ইউজিসি চেয়ারম্যানের মতে শিক্ষার্থীদের দায়বদ্ধতা কীভাবে বেড়েছে?

উত্তর: দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ন্যায়ভিত্তিক, সুষম ও ইতিবাচক সমাজ গঠনের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তাদের প্রযুক্তি ও মানবিকতার মাধ্যমে সমাজকে এগিয়ে নেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের কোন দায়িত্ব পালনের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে?

ঘুণেধরা কাঠামো পুনর্গঠন, রুদ্ধ পথ উন্মুক্ত করা এবং স্বাধীনতা-উত্তর সম্ভাবনাগুলোকে বিকশিত করার দায়িত্ব পালনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

গ্রাজুয়েটদের জন্য ইউজিসি চেয়ারম্যানের বার্তা কী ছিল?

ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রযুক্তি ও মানবিকতার সমন্বয়ে দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন গ্রাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানান।

কতজন গ্রাজুয়েট সমাবর্তনে ডিগ্রি পেয়েছেন?

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোট ৪,১২৯ জন গ্রাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

গোল্ড মেডেল কতজনকে প্রদান করা হয়েছে?

পাঁচজনকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল এবং ১০ জনকে ভাইস-চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়েছে।

উপসংহার

দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সামাজিক দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউজিসি চেয়ারম্যানের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা কেবলমাত্র একাডেমিক সাফল্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সমাজ পরিবর্তন ও উন্নয়নের জন্য দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা রয়েছে। প্রযুক্তি ও মানবিকতার সমন্বয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক, সুষম ও সম্ভাবনাময় সমাজ গঠনে তাদের ভূমিকা অপরিহার্য। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দেওয়া এই দিকনির্দেশনা নতুন গ্রাজুয়েটদের ভবিষ্যৎ গঠন ও জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে অনুপ্রাণিত করবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top