স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন, রেবেকা নজরুল চক্রের অপসারণসহ একাধিক দাবিতে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা রাজধানীতে ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) কার্যালয় ঘেরাও করেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান না হলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনের পথে যাবেন।

স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন – বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ ও শিক্ষার্থীদের সেখানে স্থানান্তর নিশ্চিত করা।
রেবেকা নজরুল চক্রের অপসারণ – প্রশাসনে থাকা বিতর্কিত ও অনিয়মে জড়িত ব্যক্তিদের পদত্যাগ বা অপসারণ।
একাডেমিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম দূর করা – শিক্ষা কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও মান নিশ্চিত করা।
সেশনজট নিরসন – নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের পাঠ সম্পন্ন করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
শিক্ষার মানোন্নয়ন ও নির্ধারিত ফি বজায় রাখা – অতিরিক্ত ফি আরোপ বন্ধ করা এবং শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলো না মানা হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা কেন ইউজিসি কার্যালয় ঘেরাও করেছেন?
প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন, রেবেকা নজরুল চক্রের অপসারণ ও প্রশাসনিক অনিয়ম দূরীকরণসহ কয়েকটি দাবিতে ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) কার্যালয় ঘেরাও করেছেন।
শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবিগুলো কী?
স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন
রেবেকা নজরুল চক্রের অপসারণ
একাডেমিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম দূর করা
সেশনজট নিরসন
শিক্ষার মানোন্নয়ন ও অতিরিক্ত ফি বাতিল
রেবেকা নজরুল চক্র বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসনের কিছু ব্যক্তির অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তারা এই চক্রের অপসারণ দাবি করছেন।
শিক্ষার্থীরা কি আন্দোলন চালিয়ে যাবেন?
শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছেন, যদি তাদের দাবি বাস্তবায়ন না করা হয়, তাহলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা ইউজিসির প্রতিক্রিয়া কী?
এখনো প্রশাসন বা ইউজিসির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে শিক্ষার্থীরা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
উপসংহার
প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন, প্রশাসনিক অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শিক্ষার মানোন্নয়নের দাবিতে ইউজিসি কার্যালয় ঘেরাও করেছেন। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের কিছু অনিয়ম তাদের একাডেমিক কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
অন্যদিকে, এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা ইউজিসির পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। অতএব, সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যাতে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি পূরণ হয় এবং শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে।