হাইস্কুল ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা পাবেন অভ্যুত্থানে হতাহতদের সন্তানরা

হাইস্কুল ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা পাবেন অভ্যুত্থানে হতাহতদের সন্তানরা

সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত বা শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি কোটা সংরক্ষিত থাকবে।

সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের পাশাপাশি ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্যও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি কোটা সংরক্ষিত থাকবে। পূর্বের নীতিমালা অনুযায়ী, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যাদের জন্য ৫ শতাংশ ভর্তি কোটা নির্ধারিত ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে, এই ৫ শতাংশ কোটার আওতায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত হবেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিতে ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।

ভর্তির জন্য নির্ধারিত আসনপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র বা গেজেটের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা মুক্তিযোদ্ধা সনদ এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এ শহীদদের জন্য প্রণীত গেজেট যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

তবে, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাওয়া না গেলে, সংরক্ষিত এসব আসনে মেধা তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে। কোনো পরিস্থিতিতেই এসব আসন শূন্য রাখা যাবে না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ আদেশ বাস্তবায়নের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর রোববার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।

কারা এই ৫ শতাংশ কোটার আওতায় আসবেন?

এই কোটার আওতায় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা আসবেন।

কোটার ভিত্তিতে ভর্তি হতে কী ধরনের প্রমাণপত্র প্রয়োজন?

আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি দেখাতে হবে।

কোটার অন্তর্ভুক্ত শিক্ষার্থীদের আসন পূরণ না হলে কী হবে?

যদি নির্ধারিত কোটার আওতায় শিক্ষার্থী পাওয়া না যায়, তাহলে মেধা তালিকা থেকে ওই আসনে ভর্তি করানো হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা হবে না।

এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্ব কার

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী এই আদেশ বাস্তবায়ন করবে।

নতুন এই নীতির আওতায় আসন সংখ্যা কত?

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট আসনের ৫ শতাংশ সংরক্ষিত থাকবে, যা আগে শুধু মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ছিল। এখন এর মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হতাহতদের পরিবারের সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

উপসংহার

২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা সহায়তার আওতায় আনার লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক গৃহীত এই সিদ্ধান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যাদের জন্য সংরক্ষিত ৫ শতাংশ কোটায় তাদের অন্তর্ভুক্তির ফলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর শিক্ষাগত সুযোগ আরও নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে, নির্ধারিত কোটার আসন শূন্য না রেখে মেধা তালিকা থেকে ভর্তি করানোর নিয়ম শিক্ষার মান বজায় রাখতে সহায়ক হবে। সরকারের এই উদ্যোগ শিক্ষাক্ষেত্রে ন্যায়বিচার ও সমতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ নেওয়া পরিবারগুলোর প্রতি দায়িত্বশীলতার প্রতিফলন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top