আগেই হাইকোর্ট ডাকসু নির্বাচনে স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন, যা আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে। একই সঙ্গে আদালত জানতে চান— প্রার্থী মনোনয়ন, বাছাই ও চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হচ্ছে এবং ভোট গ্রহণের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের হাইকোর্টের আদেশ অবশেষে আটকে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি। এর ফলে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণে আর কোনো আইনি বাধা থাকলো না।
এর আগে, এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করে এবং প্রার্থী মনোনয়ন, যাচাই-বাছাই ও ভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চান। তবে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবীরা আপিল করলে, চেম্বার আদালত তা স্থগিত করেন।
হাইকোর্টের আদেশের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানানোর পাশাপাশি কয়েকটি হলে বিক্ষোভের প্রস্তুতিও চলছিল।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবির পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ডাকসু নির্বাচনে মোট ২৮টি পদে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পাশাপাশি ১৮টি হলে ১৩টি পদে এক হাজার ৩৫ জন প্রার্থী লড়াই করছেন।
এবারের নির্বাচনে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, বামপন্থী জোটসহ প্রায় ১০টি পূর্ণ ও আংশিক প্যানেল অংশ নিচ্ছে। তবে শিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট থেকেই ভোট স্থগিতের ঘটনা ঘটেছিল। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সাম্প্রতিক রায় কী?
সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিভাগ হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ স্থগিত করেছে। ফলে নির্বাচনে আর কোনো আইনি বাধা নেই।
নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কবে অনুষ্ঠিত হবে?
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
হাইকোর্ট কেন নির্বাচন স্থগিত করেছিল?
শিবির সমর্থিত প্যানেলের এক প্রার্থীর প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানির পর হাইকোর্ট ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করেছিল।
নির্বাচনে মোট কতজন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন?
ডাকসুর ২৮টি পদে ৪৭১ জন এবং ১৮টি হলের ১৩টি পদে ১,০৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কোন কোন প্যানেল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে?
ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, বামপন্থী জোটসহ প্রায় ১০টি পূর্ণ ও আংশিক প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
উপসংহার
সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিভাগের আদেশে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকছে না। ফলে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের পথ সুগম হয়েছে। দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের প্রায় ১০টি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। আদালতের এই রায়ের ফলে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের সম্ভাবনা আরও জোরালো হলো।