ভুক্তভোগী নাইমুর রহমান দূর্জয় বলেন, “আমার ভর্তিচ্ছু এক প্রার্থী এসেছিল, তাকে বিদায় দিয়ে রুমে ফেরার পথে আমি তাজউদ্দীন হলের ৪ নম্বর লিফটে উঠি। লিফটে একজন যুবক সিগারেট হাতে প্রবেশ করেন। তাকে জানাই, হল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী লিফটে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ এবং এটি বিপজ্জনক। এতে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দেন। এরপর আমি আমার পরিচয় দিই, আমি লোকপ্রশাসন বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।”

ভুক্তভোগী নাইমুর রহমান দূর্জয় জানান, “ভর্তিচ্ছু একজন প্রার্থী এসেছিল। তাকে বিদায় দিয়ে রুমে ফেরার পথে আমি তাজউদ্দীন হলের ৪ নম্বর লিফটে উঠি। লিফটে এক যুবক সিগারেট হাতে প্রবেশ করেন। আমি তাকে জানাই যে, হল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী লিফটে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ এবং এটি ঝুঁকিপূর্ণ। এ কথা বলার পর তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেন। এরপর আমি আমার পরিচয় দিই যে, আমি লোকপ্রশাসন বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।”
অন্যদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম নাইমুর রহমান দূর্জয়, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
তিনি জানান, “আমার ভর্তিচ্ছু এক প্রার্থী এসেছিল। তাকে বিদায় দিয়ে রুমে ফেরার পথে তাজউদ্দীন হলের ৪ নম্বর লিফটে উঠি। এ সময় একজন যুবক সিগারেট হাতে লিফটে প্রবেশ করেন। তাকে জানাই যে, হল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী লিফটে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ এবং এটি ঝুঁকিপূর্ণ। এ কথা বলার পর তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বলে জানান। এরপর আমি আমার পরিচয় দিই যে, আমি লোকপ্রশাসন বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।”
ভুক্তভোগী নাইমুর রহমান দূর্জয় আরও বলেন, “তিনি আমার জুনিয়র এটি জানার পর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে তুইতোকারি করতে শুরু করেন, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং শারীরিকভাবে আঘাত করেন। আশেপাশের লোকজন এসে আমাদের আলাদা করেন। চলে যাওয়ার সময় তিনি হুমকি দেন যে, হলে পেলে ইচ্ছামতো মারবেন। এ ঘটনায় আমি নিজেকে অনিরাপদ মনে করছি এবং ন্যায়বিচার চাই।”
অভিযুক্ত পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. লুৎফুল এলাহী বলেন, “ওই শিক্ষার্থী আমাকে ফোন দিয়েছিলেন এবং আমি ঘটনাটি জেনেছি। বর্তমানে হল অফিস বন্ধ আছে, রোববার খুলবে। ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনাটি কী ছিল?
তাজউদ্দীন আহমেদ হলে সিগারেট খেতে নিষেধ করায় সিনিয়র শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান দূর্জয়কে মারধর করেছেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের এক ছাত্রদল নেতা পারভেজ মোশাররফ।
ভুক্তভোগী কী বলেছেন?
নাইমুর রহমান জানান, পারভেজ সিগারেট খাওয়ার বিষয়ে নিষেধ করলে উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে আঘাত করেন এবং পরে হুমকি দিয়ে বলেন, “হলে পেলে মারবে।”
অভিযুক্তের অবস্থান কী?
অভিযুক্ত পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
হল কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?
শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. লুৎফুল এলাহী জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগীর দাবী কী?
নাইমুর রহমান নিজেকে অনিরাপদ মনে করছেন এবং ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।\
উপসংহার
তাজউদ্দীন আহমেদ হলের এ ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করে। ভুক্তভোগী নাইমুর রহমান তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন। হল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্তের আশ্বাস দিলেও দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন আচরণ শিক্ষার পরিবেশকে ব্যাহত করে, যা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য। সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হবে।




