ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থেকে বেরিয়ে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত ও সাইন্সল্যাব মোড়ে অবরোধ করেছেন অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টা থেকে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর আগে তারা সাইন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান করে।
নীলক্ষেত মোড়ে দেড়শর মতো শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন, যারা বিভিন্ন দিক থেকে আসা যানবাহন ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন। এসময় কিছু শিক্ষার্থী যাত্রী ও চালকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে নীলক্ষেত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বকশিবাজার, সাইন্সল্যাব ও আজিমপুর কবরস্থানের দিকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এর আগে, সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে সকাল থেকেই ঢাকা কলেজের মূল ফটকে জড়ো হতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা খণ্ড-খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকা কলেজে আসেন।
কেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সাইন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন?
সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থেকে বেরিয়ে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সাইন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন।
এই প্রতিবাদের ফলে কি ধরনের ভোগান্তি তৈরি হয়েছে?
প্রতিবাদের কারণে সাইন্সল্যাব ও নীলক্ষেত এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে এবং যাত্রীদের অসুবিধা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের অবস্থান কতক্ষণ ধরে চলছে?
শিক্ষার্থীরা সোমবার দুপুর ১২টা থেকে সাইন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন।
এই আন্দোলনে কতজন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে?
প্রায় দেড়শো শিক্ষার্থী সাইন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নিয়েছে এবং তারা বিভিন্ন দিক থেকে আসা যানবাহন ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া কি ছিল?
এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনও স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি, তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
কেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সাইন্সল্যাব মোড়ে প্রতিবাদ করছেন?
শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থেকে বেরিয়ে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছেন।
এই প্রতিবাদে কি ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে?
প্রতিবাদের ফলে সাইন্সল্যাব ও নীলক্ষেত এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, যা তীব্র যানজট সৃষ্টি করেছে এবং যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলেছে।
উপসংহার
সাইন্সল্যাব মোড়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসেছে—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থেকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি। এই আন্দোলন চলাকালীন ঘটে যাওয়া যানজট এবং যাত্রীদের ভোগান্তি পরিস্থিতির জটিলতা বাড়িয়েছে। কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বিবেচনায় নেওয়া, যাতে শিক্ষাক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অস্থিরতা এড়ানো যায়। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সম্মান দেখানোই সর্বোত্তম সমাধান।




