“করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে আগামী শনিবারের মধ্যে কোভিড-১৯ রোগীদের জরুরি চিকিৎসার জন্য পৃথক শয্যার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায়, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী শনিবারের মধ্যে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য আলাদা শয্যা প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. মো. মঈনুল আহসান। তিনি বলেন, সার্বক্ষণিক জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য পৃথক শয্যার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
কেন সব হাসপাতালে কোভিড শয্যা প্রস্তুতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে?
সম্প্রতি দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে জরুরি চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ নির্দেশনা দিয়েছে।
কোন ধরনের হাসপাতালে এই নির্দেশ প্রযোজ্য?
এই নির্দেশনা দেশের সব সরকারি হাসপাতালের জন্য প্রযোজ্য। প্রত্যেক হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য আলাদা শয্যার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
নির্দেশনা কার্যকর হওয়ার সময়সীমা কতদিন?
আগামী শনিবারের (নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী) মধ্যে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই শয্যা কি শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য?
হ্যাঁ, এই শয্যাগুলো বিশেষভাবে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জরুরি চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ থাকবে, যাতে তাদের দ্রুত এবং নিরাপদ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়।
সাধারণ রোগীরা কি এর ফলে চিকিৎসা সেবায় কোনো বিঘ্ন অনুভব করবেন?
না নির্দেশনা অনুযায়ী হাসপাতালগুলোকে কোভিড ও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা আলাদাভাবে পরিচালনা করার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে, যাতে উভয় শ্রেণির রোগীদের সেবা নিশ্চিত হয়।
উপসংহার
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবারও জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই উদ্যোগ সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি হাসপাতালগুলোতে কোভিড রোগীদের জন্য আলাদা শয্যার প্রস্তুতি রোগীদের দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। এই পদক্ষেপ শুধু চিকিৎসা ব্যবস্থার কার্যকারিতা বাড়াবে না, বরং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।