চৈত্র সংক্রান্তি, বাংলা নববর্ষ এবং আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উপলক্ষে মাদরাসাগুলোর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সাড়ম্বরে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে। এই অনুষ্ঠানগুলো যথাযথভাবে উদযাপন করতে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা এসব ঐতিহ্যবাহী উৎসবের গুরুত্ব ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে পারে। এতে আদিবাসী সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং বাংলা নববর্ষের আনন্দ উদযাপনে সহায়তা হবে।

মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি চিঠি অনুযায়ী, সব মাদরাসায় আগামী ১৪৩২ বঙ্গাব্দের চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ এবং আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী সাড়ম্বরে অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো সহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষও উদযাপিত হবে। মাদরাসাগুলোর প্রধানদের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এই উৎসব আয়োজন করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবগুলোর গুরুত্ব এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারে।
মাদরাসাগুলোর জন্য একটি উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু এবং আনন্দমুখর আয়োজনের ব্যবস্থা করা জরুরি।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস না করতে চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার মাধ্যমে আপনার স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
কোন অনুষ্ঠানে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হবে?
সব মাদরাসায় চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হবে। এছাড়াও আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষও উদযাপিত হবে।
এটি কত দিনব্যাপী অনুষ্ঠান?
বাংলা নববর্ষ উদযাপন দুই দিনব্যাপী আয়োজন করা হবে।
কীভাবে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে?
মাদরাসাগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সাড়ম্বরে উৎসবমুখর পরিবেশে এই অনুষ্ঠান উদযাপন করবে।
কোন জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উদযাপন হবে?
চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো সহ অন্যান্য আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষও এই সময় উদযাপন করা হবে।
কোথা থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে?
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সব মাদরাসা প্রধান ও সংশ্লিষ্টদের চিঠির মাধ্যমে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
উপসংহার
বাংলা নববর্ষ ও আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে মাদরাসাগুলোকে সাড়ম্বরে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু বাংলা সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে না, বরং আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর ঐতিহ্যও মূল্যায়িত হবে। মাদরাসাগুলোর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎসবমুখর পরিবেশে এই অনুষ্ঠান আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐক্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং সংস্কৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা সৃষ্টিতে সহায়ক হবে।




