‘লটারি সিস্টেমে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করা উচিত’

‘লটারি সিস্টেমে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করা উচিত’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম মনে করেন, লটারির মতো উদ্ভট পদ্ধতিতে পরিচালিত ভর্তি প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।

লটারির মতো উদ্ভট পদ্ধতিতে পরিচালিত ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। পোস্টে সারজিস আলম বলেন, মেধা ও প্রতিযোগিতার যথাযথ মূল্যায়ন না হলে শিশুরা পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে। তার মতে, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, পাঠ্যক্রম থেকে শুরু করে চাকরিতে নিয়োগ—সব ক্ষেত্রেই শেষ পর্যন্ত মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতাই বাস্তবতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, যখন বাস্তব জীবনে মেধা ও প্রতিযোগিতার বিকল্প নেই, তখন শিক্ষাজীবনের শুরুতেই কেন সেই বাস্তবতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ একটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারির সময় ২০২১ সালে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম লটারি পদ্ধতির মাধ্যমে শুরু হয়। এর আগে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হতো। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

কেন লটারি পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করার দাবি উঠেছে?

মেধা ও প্রতিযোগিতার যথাযথ মূল্যায়ন না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার আগ্রহ কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

লটারি পদ্ধতিতে ভর্তি চালু হয় কবে থেকে?

২০২১ সালে করোনা মহামারির সময় সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম লটারি পদ্ধতিতে শুরু হয়।

লটারি পদ্ধতির আগে ভর্তি কীভাবে হতো?

এর আগে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হতো।

লটারি পদ্ধতির প্রধান সীমাবদ্ধতা কী?

এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীর মেধা, যোগ্যতা ও প্রস্তুতির প্রতিফলন ঘটে না, ফলে প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা গড়ে ওঠে না।

বিকল্প হিসেবে কী ধরনের ভর্তি পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে?

মেধাভিত্তিক ও স্বচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কিংবা যোগ্যতার সমন্বিত মূল্যায়ন পদ্ধতি চালুর পক্ষে মত দেওয়া হচ্ছে।

উপসংহার

সার্বিকভাবে বলা যায়, লটারি পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের মেধা ও প্রতিযোগিতার স্বাভাবিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে। শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই মেধাভিত্তিক ও ন্যায্য প্রতিযোগিতার চর্চা নিশ্চিত করা হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্ববোধ, পরিশ্রমের মানসিকতা ও শিক্ষার প্রতি আগ্রহ আরও দৃঢ় হবে। তাই একটি টেকসই ও মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে লটারি সিস্টেমের পরিবর্তে স্বচ্ছ ও মেধানির্ভর ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করা সময়ের দাবি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top