মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে নবীনবরণ-পুরস্কার বিতরণী

মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে নবীনবরণ-পুরস্কার বিতরণী

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে নবীন বরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের এক বর্ণাঢ্য আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে নবীনবরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী আয়োজন এক উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ১১টায় কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং কলেজ গভর্নিং বডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস সালাম।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এইচ. এম. অলিউল্লাহসহ কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী।

মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে আয়োজিত নবীনবরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন,
“জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। অথচ গত ১৫ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয়েছে। সেই দুরবস্থা থেকে উত্তরণের পথেই আমরা এখন এগোচ্ছি। আমাদের শিক্ষকেরা নিরলস পরিশ্রম করছেন, কিন্তু তারা যথাযথ সম্মান বা মূল্য পাচ্ছেন না।”

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস সালাম বলেন,
“বর্তমান সরকার শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে, যা উদ্বেগজনক। একটি জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, আগামী নির্বাচনে যদি আমার দল ক্ষমতায় আসে, তবে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ নিশ্চিত করা হবে।”

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন,
“আপনার সুদৃষ্টি শুধু মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজেই নয়, বরং পুরো মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিও প্রত্যাশা করি। আজকের এই অনুষ্ঠানে অনেক কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও গভর্নিং বডির সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। আমি আশা করি, আপনি এ এলাকাগুলোর শিক্ষা উন্নয়নে আপনার সহযোগিতা আরও বাড়াবেন।প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে নবীনবরণ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান কবে অনুষ্ঠিত হয়েছে?

অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, কলেজ প্রাঙ্গণে সকাল ১১টায়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি কারা ছিলেন?

প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

কে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন?

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. আব্দুস সালাম।

অনুষ্ঠানে কী কী কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে?

অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, এবং মেধাবী ও কৃতী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে শিক্ষাখাত নিয়ে কী ধরনের বক্তব্য এসেছে?

বক্তারা শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর ওপর জোর দেন। উপাচার্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন এবং শিক্ষকদের অবদান স্বীকার করেন। মো. আব্দুস সালাম বলেন, ভবিষ্যতে তার দল ক্ষমতায় এলে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

উপসংহার

মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে আয়োজিত নবীনবরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী একটি প্রাণবন্ত ও অর্থবহ আয়োজন হিসেবে পরিণত হয়। শিক্ষার্থীদের মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি, শিক্ষাখাতে নীতিগত পরিবর্তন ও বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা বক্তারা গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন। এই আয়োজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলেই সকলের প্রত্যাশা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top