সাক্ষাৎকারের শুরুতেই তিনি জানতে চাইলেন, আমি কি মাস্টার্স সম্পন্ন করেছি। এরপর মাস্টার্সে আরবি বিষয়ে অধ্যয়ন করেছি কি না, সে সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। তিনি জানতে চান, সাহিত্যের আরবি পরিভাষা কী, এবং ‘সাহিত্য’ বলতে কী বোঝায়। পরবর্তীতে জাহেলি যুগের কয়েকজন বিশিষ্ট সাহিত্যিকের নাম উল্লেখ করতে বলেন।

“সাহিত্যের আরবি পরিভাষা কী?”, “সাহিত্য কাকে বলে?”, “হাদিস কী?”, “হাদিস কত প্রকার এবং কী কী?”, “তাওহীদ শব্দের অর্থ কী?” — এমনই একাধিক মৌলিক প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন এনটিআরসিএ আয়োজিত ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভার ১২৬তম দিনের প্রভাষক (আরবি) পদপ্রার্থীরা।
বুধবার অনুষ্ঠিত এই ভাইভা ছিল অষ্টাদশ নিবন্ধনের নবম ধাপের চতুর্থ দিন। এদিন আরবি বিষয়ের ভাইভা বোর্ডে অংশগ্রহণকারী একাধিক প্রার্থীর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছেন সানজিদা কাকন ও সাবরিনা আফরিন।
আপনি চাইলে এই প্রতিবেদনের ভাষা আরও সংবাদের ধরনে রূপান্তর, অথবা ব্লগ বা সামাজিক মাধ্যমে ব্যবহারযোগ্য করে সাজিয়ে দিতে পারি।
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভার ১২৬তম দিনে আরবি বিষয়ের প্রভাষক পদের প্রার্থীদের বিভিন্ন মৌলিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। গাইবান্ধার প্রার্থী মো. ফেরদৌস আলম জানান, ভাইভার শুরুতেই তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন কি না। এরপর জানতে চাওয়া হয়, তার মাস্টার্সে আরবি বিষয়ে পড়াশোনা ছিল কি না। তাঁকে আরও প্রশ্ন করা হয় — “সাহিত্যের আরবি শব্দ কী?”, “সাহিত্য কাকে বলে?”, এবং “জাহেলি যুগের কয়েকজন সাহিত্যিকের নাম কী?”।
এছাড়াও তাকে হাদিস সম্পর্কিত প্রশ্ন করা হয় — “হাদিস কাকে বলে, কত প্রকার এবং কী কী?” সবশেষে আরবি অনুবাদ জানতে চাওয়া হয় বাক্যটির: “আমি এখান থেকে ঢাকায় যাব।”
কুমিল্লার প্রার্থী মো. ইমরান হোসাইন জানান, তাঁকে প্রশ্ন করা হয় — “তাফসীর শব্দের অর্থ কী?”, “তাওহীদ শব্দের অর্থ কী?”, “তাফসীরে মাযহারীর লেখক কে?”, এবং “সূরা ফাতিহার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ শব্দের অর্থ কী?”
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে ধন্যবাদ জানান ভাইভার অভিজ্ঞতা ভিডিও আকারে প্রচারের জন্য।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
ভাইভায় মাস্টার্স ডিগ্রির গুরুত্ব কতটা?
- প্রথম প্রশ্নগুলোতেই অনেক প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে তারা মাস্টার্স করেছেন কি না। মাস্টার্স সম্পন্ন না করলে কখনও কখনও বোর্ড সদস্যরা ভ্রুকুটি করেন বা সংশয় প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছে কিছু প্রার্থী। এটি বোঝায়, মৌখিক পরীক্ষায় মাস্টার্স ডিগ্রিকে বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
- কোন ধরনের প্রশ্ন বেশি করা হচ্ছে আরবি প্রভাষক পদে?
- আরবি বিষয়ের ভাইভায় প্রার্থীদের জিজ্ঞেস করা হচ্ছে:
সাহিত্যের আরবি পরিভাষা কী?
সাহিত্য কাকে বলে?
- জাহেলি যুগের সাহিত্যিকদের নাম
- হাদিস কত প্রকার ও কী কী?
- তাওহীদ, তাফসীর ইত্যাদি ধর্মীয় শব্দের অর্থ
- নির্দিষ্ট বাক্যের আরবি অনুবাদ (যেমন: “আমি এখান থেকে ঢাকায় যাব।”)
- যাঁরা মাস্টার্স করেননি, তাঁদের কি ভাইভায় বঞ্চনার শিকার হওয়ার আশঙ্কা আছে?
- অনেক প্রার্থী এমন অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন যে মাস্টার্স না থাকলে বোর্ডের মনোভাব খানিকটা সন্দেহপ্রবণ হয়ে ওঠে। তবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থী যদি প্রযোজ্য ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ করে থাকেন, তবে তা কোনোভাবে বাদ দেওয়ার ভিত্তি হতে পারে না। তবুও প্রার্থীরা মনে করছেন, মাস্টার্স ডিগ্রি থাকলে মানসিকভাবে আত্মবিশ্বাস বেশি থাকে।
ভাইভা বোর্ডে ধর্মীয় জ্ঞানের গুরুত্ব কতটা?
বিশেষ করে আরবি বিষয়ের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কোরআন, হাদিস, তাফসীর ও তাওহীদের মৌলিক জ্ঞান যাচাই করা হচ্ছে। কিছু কিছু বোর্ডে প্রশ্ন এসেছে সূরা ফাতিহার শব্দের অর্থ নিয়েও। এ থেকে বোঝা যায়, শুধু ভাষাগত দক্ষতা নয়, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটেও প্রার্থীদের প্রস্তুত থাকতে হচ্ছে।
ভাইভা নিয়ে প্রার্থীদের মূল আশঙ্কাগুলো কী কী?
- মাস্টার্স না থাকলে কম নম্বর পাওয়ার আশঙ্কা
- কিছু প্রশ্ন বোর্ডভেদে অতিরিক্ত কঠিন বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে উঠছে
- মৌলিক প্রশ্নের উত্তর ঠিক দিলেও আত্মবিশ্বাসের অভাব হলে নম্বর কমে যেতে পারে
- বোর্ড সদস্যদের মাঝে প্রশ্ন করার ধরণে ভিন্নতা
উপসংহার:
ভাইভা পরীক্ষায় সফলতা নির্ভর করে শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতা নয়, আত্মবিশ্বাস, প্রাসঙ্গিক জ্ঞানের গভীরতা এবং তাৎক্ষণিক উত্তরের দক্ষতার ওপর। মাস্টার্স থাকাটা সুবিধা হলেও, প্রাথমিক যোগ্যতা পূরণকারী প্রত্যেক প্রার্থীর ভাইভায় সুযোগ পাওয়ার ও ভালো করার অধিকার সমানভাবে রয়েছে।
উপসংহার
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা পরীক্ষায় মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন প্রার্থীদের প্রতি কিছুটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখা গেলেও, এটি একমাত্র সফলতার মাপকাঠি নয়। বোর্ড সদস্যরা প্রার্থীদের মৌলিক জ্ঞান, ধর্মীয় ও ভাষাগত দক্ষতা, উপস্থিত বুদ্ধি এবং আত্মবিশ্বাস বিবেচনায় নিচ্ছেন। তাই মাস্টার্স না থাকলেও সুনির্দিষ্ট প্রস্তুতি, প্রাসঙ্গিক উত্তর ও আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে যে কেউ ভালো করতে পারেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ভাইভাকে ভয় নয় বরং প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেখার মনোভাব। প্রত্যেক প্রার্থী যদি সঠিক প্রস্তুতি ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে অংশগ্রহণ করেন, তবে ফলাফলও হতে পারে আশানুরূপ।