মাদরাসায় শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২০

মাদরাসায় শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২০

“জামিয়া সুলতানিয়া রওজাতুল কুরআন নুরানি মহিলা মাদ্রাসা এবং ওবায়দুল হোসেন পরিচালিত রাবেয়া বুশরী নুরানি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ভর্তিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মফিজুর রহমান ও ওবায়দুল হোসেনের মধ্যে প্রথমে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে, রোববার সকাল থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।”

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় নুরানি মাদরাসায় ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের ইসলামপুর উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সংঘর্ষের সময় ইসলামপুর-ঝগড়ারচর সড়কের কড়ইতলা মাদরাসা মোড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রোববার (১১ মার্চ) দুপুরে গাইবান্ধা ইউনিয়নের এ এলাকায় সংঘর্ষের সময় প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে এবং কয়েকশ যানবাহন আটকে যায়।

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কড়ইতলা এলাকায় দুটি নুরানি মাদরাসায় ভর্তি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ইসলামপুর উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১০ মে) রাতে মফিজুর রহমান পরিচালিত জামিয়া সুলতানিয়া রওজাতুল কুরআন নুরানি মহিলা মাদরাসা এবং ওবায়দুল হোসেন পরিচালিত রাবেয়া বুশরী নুরানি মাদরাসায় শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে মফিজুর ও ওবায়দুলের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর জেরে রোববার সকাল থেকে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষ চলাকালে ইসলামপুর-ঝগড়ারচর সড়কের কড়ইতলা মাদরাসা মোড় এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং কয়েকশ যানবাহন আটকে পড়ে।

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, “সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

সংঘর্ষের মূল কারণ কী ছিল?

সংঘর্ষের মূল কারণ ছিল ইসলামপুর উপজেলার দুটি নুরানি মাদরাসায় শিক্ষার্থী ভর্তিকে কেন্দ্র করে বিরোধ। মফিজুর রহমান ও ওবায়দুল হোসেন নামের দুই স্থানীয় মাদরাসা পরিচালকের মধ্যে শুরুতে কথাকাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি থেকে এই উত্তেজনা তৈরি হয়।

সংঘর্ষে কতজন আহত হয়েছেন এবং তাদের অবস্থা কেমন?

উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন সংঘর্ষে আহত হয়েছেন। আহতরা ইসলামপুর উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়নি।

ঘটনাটি কোথায় ও কখন ঘটেছে?

সংঘর্ষটি ঘটেছে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের কড়ইতলা মাদরাসা মোড় এলাকায়। শনিবার (১০ মে) রাতে হাতাহাতির সূত্রপাত হয় এবং রোববার (১১ মে) সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়।

পুলিশ বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?

সংবাদ পেয়ে ইসলামপুর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সংঘর্ষের কারণে সাধারণ মানুষ বা যানবাহনের ওপর কোনো প্রভাব পড়েছে কি?

হ্যাঁ, সংঘর্ষ চলাকালে ইসলামপুর-ঝগড়ারচর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়ে, ফলে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।

উপসংহার

ইসলামপুরে নুরানি মাদরাসায় ভর্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষের ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় পারস্পরিক সমঝোতা ও শান্তিপূর্ণ আলোচনা কতটা জরুরি। এ ধরনের সহিংসতা শুধু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরই নয়, সাধারণ জনগণের ভোগান্তির কারণও হয়ে দাঁড়ায়। প্রশাসনের তৎপরতা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও, ঘটনার পূর্ণ তদন্ত এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণই হতে পারে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের একমাত্র পথ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top