মহার্ঘ ভাতা নয়, শিক্ষকদের জন্য কিছু একটা করার চিন্তা করছি

মহার্ঘ ভাতা নয়, শিক্ষকদের জন্য কিছু একটা করার চিন্তা করছি

অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, “আমি সামাজিক খাতে বরাদ্দ কমানোর পক্ষপাতী নই। আমাদের শিক্ষা, তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য এবং সমাজকল্যাণ খাতে গভীর প্রতিশ্রুতি রয়েছে, এবং এ সব খাতে বরাদ্দ কমানো হবে না। অর্থদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও আমাদের জানিয়েছে যে, তারা অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজের জন্য বাজেট সহায়তা দেবে, তবে এই খাতগুলোর বরাদ্দ কমানো যাবে না।”

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা নয়, বরং শুধুমাত্র স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা করছে সরকার। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এই তথ্য জানিয়েছেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “শুধুমাত্র স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের জন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, তবে অন্যান্য কিছু বিষয় আমরা পর্যবেক্ষণ করব এবং যদি সম্ভব হয়, তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব। তবে, এটি স্পষ্ট যে, পে স্কেল পরিবর্তন করার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।

অর্থ উপদেষ্টা জবাবে বলেন, “আমি বলেছি, সামাজিক খাতে বরাদ্দ কমানো হবে না। শিক্ষা, আইটি, স্বাস্থ্য এবং সমাজকল্যাণ খাতে আমাদের গভীর প্রতিশ্রুতি রয়েছে, এবং এই খাতগুলোতে বরাদ্দের কোনো হ্রাস হবে না। আমাদের অর্থদাতারাও স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘তোমরা অবকাঠামোগত উন্নয়ন করবে, আমাদের কাছ থেকে বাজেট সহায়তা নেবে, তবে এই খাতগুলোর বরাদ্দ কমানো যাবে না।'”

এছাড়া, যখন তাকে প্রশ্ন করা হয় যে, অতিরিক্ত ব্যয় কিভাবে মোকাবেলা করা হবে, বিশেষত দীর্ঘমেয়াদী ব্যয়ের ক্ষেত্রে, তিনি বলেন, “আমরা এই বিষয়ে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করব এবং দীর্ঘকালীন ব্যয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ব্যবস্থা তৈরি করব, যাতে তা স্থিতিশীল এবং টেকসই হয়।”

জবাবে, সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “রাজনৈতিক সরকার থাকার সময় তারা এই কাজ করেনি। এখন যে পরিমাণ আমরা দিচ্ছি, তা একেবারেই নয়; এসব মানুষ পুরোপুরি বঞ্চিত ছিল। পে কমিশন করে ভবিষ্যতে পে বাড়ানো হবে, কিন্তু আমরা এ বিষয়গুলোতে কোনো হস্তক্ষেপ করছি না।”

তিনি আরও বলেন, “এটি আমাদের কাজ নয়। রাজনৈতিক সরকার আসবে এবং তারা পে কমিশন তৈরি করবে। এর আগেও ২০১৫ সালে পে কমিশন হয়েছিল।”

যখন তাকে প্রশ্ন করা হয়, “তবে কি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে এখন কিছু হচ্ছে না?” সে সম্পর্কে, তিনি মাথা নেড়ে ‘না’ সূচক উত্তর দেন।

সরকার কেন মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করবে না?

উত্তর: অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, সরকার মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি না করে, বরং শিক্ষকদের জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করছে, যা সমাজের জন্য আরও কার্যকর হবে।

কিভাবে শিক্ষকদের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে?

উত্তর: সরকার বর্তমানে শিক্ষকদের জন্য বিশেষ কোনো পরিকল্পনা বা সুবিধা তৈরি করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে, তবে এটি কোনো পে স্কেল পরিবর্তন নয়, বরং অন্যান্য সহায়তা হতে পারে।

মহার্ঘ ভাতা কমানোর কোনো চিন্তা আছে কি?

উত্তর: না, অর্থ উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, সামাজিক খাতের বরাদ্দ কমানোর কোনো পরিকল্পনা নেই এবং মহার্ঘ ভাতা বিষয়ে কোনো পরিবর্তন হবে না।

শিক্ষকদের জন্য কী ধরনের পরিকল্পনা হতে পারে?

উত্তর: সরকার বিশেষ কোনো সহায়তা বা সুবিধা প্রদান করতে পারে, তবে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কোনো পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়নি।

সরকারের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সমাজকল্যাণ খাতে কোন ধরনের কমিটমেন্ট রয়েছে?

উত্তর: সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইটি ও সমাজকল্যাণ খাতে গভীর প্রতিশ্রুতি রেখেছে এবং এ খাতগুলোতে বরাদ্দ কমানো হবে না।

উপসংহার

উপসংহারে, সরকার মহার্ঘ ভাতা না বাড়িয়ে বরং শিক্ষকদের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তবে, এটি পে স্কেল পরিবর্তনের মাধ্যমে নয়, বরং শিক্ষকদের জন্য অন্যান্য সুবিধা বা সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে হতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক খাতে বরাদ্দ কমানোর কোনো ইচ্ছা নেই, এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইটি ও সমাজকল্যাণ খাতে গভীর প্রতিশ্রুতি রয়েছে। ফলে, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকারি ব্যয়ের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা হবে এবং সরকারের লক্ষ্য হলো জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top