ভোট উৎসবে অর্ধকোটি শিক্ষার্থী

ভোট উৎসবে অর্ধকোটি শিক্ষার্থী

১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া প্রতিটি নাগরিকের ভোটাধিকার প্রয়োগের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। সে হিসেবে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত আনুমানিক ৫২ লাখ শিক্ষার্থীর প্রায় সকলেই এবার ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের যোগ্যতা অর্জন করেছেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে অর্ধকোটি শিক্ষার্থী প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এ শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র ও রাজনীতির নানা সংস্কারের দাবিতেও তারা ছিলেন সোচ্চার। রাজনৈতিক সচেতনতা ও অংশগ্রহণের সেই ধারাবাহিকতায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে।

চলতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৩ অনুযায়ী, বিদেশি শিক্ষার্থী বাদ দিয়ে দেশের উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫১ লাখ ৭৮ হাজার ১২০ জন। এর মধ্যে ৫০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ২ লাখ ৯৬ হাজার ৬৩ জন। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে পড়ছেন ৪৫ লাখ ২৪ হাজার ৪৬৯ জন এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৫৮৮ জন।

সংবিধান অনুযায়ী ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করা প্রতিটি নাগরিকের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার রয়েছে। সে হিসেবে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত প্রায় ৫২ লাখ শিক্ষার্থীর প্রায় সবাই এবারে ভোটার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।

প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্টদের ভাষ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত থাকায় মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যাও প্রায় একই রয়ে গেছে। উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের এসব ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে দল বা প্রতীকের পাশাপাশি প্রার্থীর যোগ্যতা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও পূর্ব কর্মকাণ্ডকে গুরুত্ব দেবেন—এমনটাই উঠে এসেছে বিভিন্ন নির্বাচনী জরিপে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আজিজুল হক এবার প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি মনে করেন। তাঁর মতে, অধিকাংশ শিক্ষার্থী রাজনৈতিকভাবে সচেতন এবং বড় একটি অংশ প্রার্থীর যোগ্যতা ও কর্মকাণ্ড বিবেচনা করেই ভোট দেবেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনেও শিক্ষার্থীদের বড় অংশ দল বা সংগঠনের পরিচয়ের বাইরে গিয়ে ভোট দিয়েছেন। জাতীয় নির্বাচনেও একই প্রবণতা দেখা যেতে পারে।

সংবিধান অনুযায়ী ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করা প্রতিটি নাগরিকের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার রয়েছে। সে হিসেবে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত প্রায় ৫২ লাখ শিক্ষার্থীর প্রায় সকলেই এবার ভোটার হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেছেন।

প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত থাকায় শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যাও প্রায় একই পর্যায়ে রয়েছে। উচ্চশিক্ষা অঙ্গনের এসব ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে দল বা প্রতীকের পাশাপাশি প্রার্থীর যোগ্যতা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং পূর্ববর্তী কর্মকাণ্ডকে গুরুত্ব দেবেন—এমন চিত্রই উঠে এসেছে বিভিন্ন নির্বাচনী জরিপে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আজিজুল হক এবার প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে তাঁর বিশ্বাস। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, অধিকাংশ শিক্ষার্থী রাজনৈতিকভাবে সচেতন এবং তাদের বড় একটি অংশ প্রার্থীর যোগ্যতা ও কর্মকাণ্ড বিবেচনা করেই ভোট দেবেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনেও শিক্ষার্থীদের বড় অংশ সংগঠন নয়, বরং প্রার্থী দেখে ভোট দিয়েছেন। জাতীয় নির্বাচনেও অনুরূপ প্রবণতা দেখা যেতে পারে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের ভোটের সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে তরুণদের ভবিষ্যৎ জীবন ও সম্ভাবনা। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সংকট এবং তরুণদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখেই তারা প্রার্থী নির্বাচন করতে চান। এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেট অর্গানাইজেশনের (জেইউডিও) সাধারণ সম্পাদক ফারিম আহসান বলেন, শিক্ষা শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং ডিজিটাল ও আধুনিক অর্থনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণের পথ দেখাতে সক্ষম রাজনৈতিক শক্তিই মূলত তরুণ ভোটারদের সমর্থন পেতে পারে। একই সঙ্গে শাসনব্যবস্থা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, বিরোধী মতের প্রতি সহনশীলতা ও আইনের শাসনের বিষয়গুলোও সচেতন তরুণ ভোটারদের কাছে ক্রমেই অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। তাঁর মতে, এবারের নির্বাচনে তরুণরা মার্কার চেয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে ভোট দেবেন।

গত কয়েক মাসে চারটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে লক্ষ্যণীয় আগ্রহ ও উদ্দীপনা দেখা যায়। সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে এ হার ছিল ৬৭ শতাংশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়ে। তবে এসব নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তুলনায় প্যানেলভুক্ত প্রার্থীরাই বেশি সাফল্য পেয়েছেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে তরুণ ভোটাররা ফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে মনে করছেন ডাকসুর এজিএস মহিউদ্দিন খান। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ভোটাররা সামগ্রিকভাবে রাজনৈতিকভাবে সচেতন। রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম তারা গভীর মনোযোগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছেন। একই সঙ্গে তারা পরিবার ও আশপাশের মানুষদের ভোটের সিদ্ধান্তেও প্রভাব ফেলতে সক্ষম। ফলে তরুণ ভোটারদের বড় অংশ যেদিকে যাবে, জনগণের রায়ও সেদিকেই প্রতিফলিত হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বিগত চারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচনে উচ্চশিক্ষা স্তরে অধ্যয়নরত ভোটারের সংখ্যা সর্বাধিক। ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এ সংখ্যা প্রায় চার গুণ বেশি। নবম সংসদ নির্বাচনের সময় উচ্চশিক্ষা স্তরে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল আনুমানিক ১৩ লাখ ৫৯ হাজার।

এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ায় রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে মতামত জানানোর সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এ কারণেই এবারের ভোট নিয়ে তরুণদের আগ্রহ তুলনামূলকভাবে বেশি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী খান মুহাম্মদ মামুন বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি বলেই এবারের নির্বাচন নিয়ে সবার মধ্যে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাই জুলাই অভ্যুত্থানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে সংস্কারের দাবিতেও সক্রিয় ছিলেন। এবারের নির্বাচনে শুধু জনপ্রতিনিধি নির্বাচন নয়, গণভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামো সংস্কারের সুযোগ থাকায় তরুণদের আগ্রহ আরও বেড়েছে।

এদিকে ভোটারদের পাশাপাশি এবারের নির্বাচনে তরুণ প্রার্থীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঘোষিত প্রার্থীদের একটি বড় অংশই তরুণ। পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া অনেক তরুণ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেশের মোট ভোটারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বর্তমানে শিক্ষিত তরুণ ও প্রথমবারের ভোটার। ফলে তাদের চাহিদা, প্রত্যাশা ও অগ্রাধিকারগুলো অনুধাবন করে সময়োপযোগী নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়ন করা রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তরুণদের দৃষ্টিতে উন্নয়ন কেবল অবকাঠামোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, ব্যক্তি স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সুযোগ এবং ভবিষ্যৎ নিরাপত্তাই তাদের কাছে বেশি গুরুত্ব বহন করে। এ বাস্তবতায় প্রচলিত রাজনৈতিক ‘মার্কা’ বা ঐতিহ্যগত দলীয় আনুগত্যের বাইরে গিয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা, জীবনমান উন্নয়ন এবং দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতাকে বিবেচনায় নিয়েই তারা এবারের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন বলেন, বর্তমান সময়ের বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া বা জেন-জি প্রজন্ম তুলনামূলকভাবে বেশি সচেতন ও বিশ্লেষণক্ষম। তারা প্রতিটি বিষয় ভেবেচিন্তে ও যুক্তি বিশ্লেষণ করেই ভোট দেওয়ার প্রবণতা দেখাবে। একই সঙ্গে অনেক তরুণ প্রার্থীও নিজেদের অবস্থান ও বক্তব্যের মাধ্যমে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন বলে তিনি মনে করেন।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

এবারের নির্বাচনে কতজন শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন?

এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত প্রায় অর্ধকোটি বা প্রায় ৫২ লাখ শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।

কেন এবারের নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ?

শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ প্রথমবারের ভোটার এবং তারা রাজনৈতিকভাবে সচেতন। তাদের ভোটের সিদ্ধান্ত নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করতে পারে।

শিক্ষার্থীরা ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব দিচ্ছেন?

দল বা প্রতীকের পাশাপাশি প্রার্থীর যোগ্যতা, কর্মকাণ্ড, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভূমিকার কী সম্পর্ক রয়েছে?

জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র ও রাজনীতির সংস্কারের দাবিতেও তারা সোচ্চার ছিলেন।

শিক্ষার্থীদের ভোট কি জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শিক্ষিত তরুণ ও প্রথমবারের ভোটারদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভোট এবারের নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

উপসংহার

সার্বিকভাবে বলা যায়, এবারের জাতীয় নির্বাচনে অর্ধকোটি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ ভোটের সমীকরণে একটি নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা যোগ করেছে। রাজনৈতিকভাবে সচেতন, যুক্তিনির্ভর এবং ভবিষ্যৎকেন্দ্রিক এই তরুণ ভোটাররা দলীয় পরিচয় বা প্রতীকের চেয়ে প্রার্থীর যোগ্যতা, কর্মসূচি ও রাষ্ট্র পরিচালনার দৃষ্টিভঙ্গিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। গণভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারে মত প্রকাশের সুযোগ থাকায় তাদের আগ্রহ আরও বেড়েছে। ফলে সময়োপযোগী নীতি, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিতে পারাই রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই তরুণ ভোটারদের সিদ্ধান্তই শেষ পর্যন্ত এবারের নির্বাচনের ফলাফলে निर्णায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top