মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাকিব আল হাসানকে খেলতে দেওয়ার দাবিতে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গত রবিবার, সাকিবের ভক্ত ও বিরোধীদের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও মারামারি ঘটে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই মঙ্গলবার শুরু হয়েছে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ। সাকিবের উপস্থিতি নিয়ে আলোচনা ও উত্তেজনা এখনো কাটেনি, যা এই সিরিজের আবহকে আরও তীব্র করে তুলছে।

শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা এই টেস্ট উপলক্ষে বেশ জোরদার করা হয়েছে, যেখানে পুলিশ, র্যাব এবং সেনাসদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। প্রথম দিনের মধ্যাহ্নবিরতি পর্যন্ত স্টেডিয়াম এলাকা বেশ শান্ত ছিল, তবে সাকিব ভক্তদের সেখানে দেখা যায়নি।
এদিকে, ৫ নম্বর গেটে বিনা টিকিটে খেলা দেখতে আসা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা ‘বিসিবি ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে নিজেদের দাবি জানান, যে আগে টেস্ট ম্যাচের সময়ে শিক্ষার্থীদের বিনা টিকিটে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হতো, কিন্তু এবারের সিরিজে তা করা হচ্ছে না। এ পরিস্থিতি আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি স্কুল ও শিক্ষার্থীরা ৫ নম্বর গেটের কাছে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখে। আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের এক ছাত্র বলেন, “টেস্ট সিরিজে সব সময় ছাত্রছাত্রীদের জন্য ফ্রি খেলা দেখার ব্যবস্থা থাকে। আমরা সেই কারণেই এসেছি, কিন্তু এবার তা দেওয়া হচ্ছে না।” মিরপুর বাঙলা কলেজের আরেক ছাত্রও একই দাবি করেন।
তাদের সবাই স্কুলের ইউনিফর্ম পরা ও গলায় আইডি কার্ড ছিল। পরে, শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ব গ্যালারির টিকিট অর্ধেক মূল্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা কিছুটা হলেও শিক্ষার্থীদের হতাশা কমায়। ছাত্রছাত্রীরা ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় ৫ নম্বর গেটের সামনে লম্বা সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাসদস্যরা তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন।
এ সময় এক সেনা কর্মকর্তা হ্যান্ডমাইকে জানান, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা টিকিট ছাড়া খেলা দেখতে পারবেন না, কারণ বিসিবির পক্ষ থেকে এমন কোনো নির্দেশনা তাঁদের দেওয়া হয়নি। তিনি জানান, টিকিট বুথে টিকিট রয়েছে, এবং খেলা দেখতে চাইলে টিকিট কিনতে হবে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফ্রি প্রবেশের সুযোগ নেই, যদিও বিপিএল বা অন্যান্য ঘরোয়া টুর্নামেন্টে শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়। এই নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত এক সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফ্রি টিকিট দেওয়ার নির্দেশনা না থাকা সত্ত্বেও সকালে বিসিবির টিকিট বুথ থেকে ভুলক্রমে শিক্ষার্থীদের ১০০ টাকার টিকিট ফ্রি দেওয়া হয়। এরপরেই শিক্ষার্থীরা দলে দলে ৫ নম্বর গেটে জড়ো হতে শুরু করে।
এদিকে, এক সেনা সদস্য অভিযোগ করেন যে, বিসিবির কিছু কার্ডধারী স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে তাদের পরিচিত কয়েকজনকে বিনা টিকিটে স্টেডিয়ামে ঢোকানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তারা হাতেনাতে ধরা পড়ে। এই পরিস্থিতি নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য আরও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শিক্ষার্থীরা কেন বিক্ষোভ করছে?
শিক্ষার্থীরা বিনা টিকিটে খেলা দেখতে না পেয়ে বিক্ষোভ করছে, কারণ পূর্ববর্তী টেস্ট সিরিজগুলোতে তাদের জন্য ফ্রি প্রবেশের সুযোগ ছিল।
বিক্ষোভের সময় পরিস্থিতি কেমন ছিল?
বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীরা ৫ নম্বর গেটের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল, এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কিছু উত্তেজনা দেখা দেয়।
বিসিবি কি কোনো নির্দেশনা দেয়নি?
দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিসিবির পক্ষ থেকে ফ্রি টিকিট দেওয়ার কোনো নির্দেশনা ছিল না।
শিক্ষার্থীরা কি কিছু টিকিট পেয়েছিল?
বিকেলের দিকে শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ব গ্যালারির টিকিট অর্ধেক মূল্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিক্ষোভের সময় কি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল?
হ্যাঁ, নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ ও র্যাব মিলে স্টেডিয়ামের আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছিল।
শিক্ষার্থীরা কেন বিক্ষোভ করছে?
শিক্ষার্থীরা বিনা টিকিটে খেলা দেখতে না পেয়ে বিক্ষোভ করছে, কারণ পূর্ববর্তী সিরিজে তাদের জন্য ফ্রি প্রবেশের ব্যবস্থা ছিল।
বিক্ষোভের সময় পরিস্থিতি কেমন ছিল?
বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীরা ৫ নম্বর গেটের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল, যা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে উত্তেজনা তৈরি করে।
বিসিবির পক্ষ থেকে কি কোনো নির্দেশনা ছিল?
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে ফ্রি টিকিট দেওয়ার কোনো নির্দেশনা ছিল না।
শিক্ষার্থীরা কি টিকিট পেয়েছিল?
পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ব গ্যালারির টিকিট অর্ধেক মূল্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন ছিল?
স্টেডিয়ামের আশপাশে পুলিশ, র্যাব ও সেনাসদস্যদের উপস্থিতি ছিল, যা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে।
উপসংহার
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ঘটনা একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা তুলে ধরে, যেখানে বিনা টিকিটে খেলা দেখার সুযোগ বন্ধ হওয়ার কারণে তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ববর্তী সিরিজগুলোতে ফ্রি প্রবেশের ব্যবস্থা থাকায় তারা এই ম্যাচেও একই প্রত্যাশা নিয়ে এসেছিল। যদিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও প্রতিক্রিয়া বিষয়টি নিয়ে নতুন আলোচনার সূচনা করেছে। আশা করা যায়, বিসিবি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন ও প্রত্যাশার প্রতি নজর দেবে এবং সুষ্ঠু সমাধান বের করতে কাজ করবে। এই পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে সকলের জন্য একটি সুষ্ঠু ও প্রগতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।




