প্যাডে শেখ হাসিনার নাম, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা বরখাস্ত

প্যাডে শেখ হাসিনার নাম, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা বরখাস্ত

সরকারি ভ্যাট ও উৎসে কর পরিশোধ সংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপনের সমর্থনে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে নিষিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় প্যাড ব্যবহার করে শেখ হাসিনার সরকারের শিক্ষা বিষয়ক স্লোগান, “শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ,” অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে এবং তারা ব্যাপক আন্দোলনে ফুঁসে ওঠেন।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাডে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করে তৈরি করা লোগো ব্যবহারের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক গোলাম সরোয়ারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ছাত্র আন্দোলনের ফলে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকারের শিক্ষা বিষয়ক স্লোগান, “শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ,” ব্যবহার করে নিষিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় প্যাডে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি ভ্যাট ও উৎসে কর পরিশোধ সংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপনের পক্ষে বক্তব্য দেওয়া হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তারা ব্যাপক আন্দোলন শুরু করেন।

আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এবং প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী আচরণবিধি অনুযায়ী গোলাম সরোয়ারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে বরখাস্তের এই সময়ে সরকারি বিধিমোতাবেক তিনি খোরপোষ ভাতা পাবেন।

এর আগে, গত ১৩ জানুয়ারি, গোলাম সরোয়ার ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের ভ্যাট সংক্রান্ত একটি নোটিশ প্রকাশ করেন, যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।

কী ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে?

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাডে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করে তৈরি করা লোগো ব্যবহার এবং নিষিদ্ধ প্যাডে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক গোলাম সরোয়ারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

কোন ধরনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল?

নিষিদ্ধ প্যাড ব্যবহার করে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের ভ্যাট এবং উৎসে কর পরিশোধ সংক্রান্ত একটি সরকারি প্রজ্ঞাপনের পক্ষে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল।

শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?

বিজ্ঞপ্তিতে শেখ হাসিনার নাম উল্লেখিত স্লোগান অন্তর্ভুক্ত থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয় এবং তারা আন্দোলনে ফুঁসে ওঠেন।

বরখাস্তের প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হয়েছে?

শিক্ষার্থীদের আনা অভিযোগ এবং প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী আচরণবিধি অনুযায়ী গোলাম সরোয়ারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে তাকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা দেওয়া হবে।

ঘটনাটি কবে ঘটেছিল?

বিজ্ঞপ্তিটি ১৩ জানুয়ারি প্রকাশ করা হয় এবং ১৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের স্বাক্ষরিত আদেশে বরখাস্তের ঘোষণা দেওয়া হয়।

উপসংহার

এই ঘটনার মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়ম-নীতি এবং সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণের গুরুত্ব স্পষ্ট হয়েছে। নিষিদ্ধ প্যাড ব্যবহার এবং অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ড শুধু প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে আস্থাহীনতা সৃষ্টি করে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ এই বার্তা দেয় যে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে প্রশাসনকে আরও সচেতন ও জবাবদিহিতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top