পুড়ে গেছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ‘মুখাকৃতি’

পুড়ে গেছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ‘মুখাকৃতি’

“জুলাই বিপ্লবের পর এই প্রথমবারের মতো আগামী সোমবার, ১৪ এপ্রিল, পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপিত হতে যাচ্ছে।”

“জুলাই বিপ্লবের পর প্রথমবারের মতো আগামী সোমবার, ১৪ এপ্রিল, পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপিত হতে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করেই এবারের উৎসবের মোটিফগুলো সাজানো হয়েছে। আয়োজনে এমন কিছু উপস্থাপনাও রয়েছে, যেখানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখাকৃতির প্রতিকৃতি পুড়িয়ে ফেলার মতো রাজনৈতিক বার্তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

“শনিবার, ১২ এপ্রিল, ভোর সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে উল্লিখিত মোটিফটি পুড়ে যায়।”

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রফিকুল ইসলাম জানান, চারুকলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল পুলিশ এবং প্রক্টরিয়াল মোবাইল টিম। ভোর সাড়ে চারটার দিকে মোবাইল টিমের সদস্যরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য সাময়িকভাবে স্থান ত্যাগ করলে, তখন শুধুমাত্র পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে ছিলেন। এর কিছু সময় পর শেখ হাসিনার মুখাবয়ব নিয়ে তৈরি মোটিফটির স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা’ শিরোনামে তৈরি মোটিফটি সম্পূর্ণরূপে পুড়ে যায়। তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যমূলক বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ঘটনাটি তদন্তের অংশ হিসেবে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

নিরপেক্ষ ও তথ্যভিত্তিক শিরোনাম:

চারুকলায় ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা’ মোটিফে আগুন

পহেলা বৈশাখের মোটিফে আগুন: তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

শেখ হাসিনার মুখাবয়ব নিয়ে তৈরি মোটিফ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে

তদন্তমূলক বা বিশ্লেষণধর্মী শিরোনাম:

‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা’ মোটিফে অগ্নিসংযোগ: পূর্বপরিকল্পিত নাকি তাৎক্ষণিক?

চারুকলায় আগুন: রাজনীতির প্রতিবিম্ব পহেলা বৈশাখে?

উদ্দীপনামূলক বা প্রতিবাদমূলক ধাঁচে (যদি প্রাসঙ্গিক হয়):

পুড়িয়ে দেওয়া হলো শেখ হাসিনার ‘ফ্যাসিস্ট’ মুখাবয়বের শিল্পকর্ম

পহেলা বৈশাখের আগেই আগুন রাজনীতির প্রতীকী শিল্পে

উপসংহার

চারুকলায় পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন উপলক্ষে তৈরি মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনা শিল্প ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর একটি উদ্বেগজনক আঘাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ঘটনাটিকে ঘিরে প্রশাসনের মধ্যে তৎপরতা দেখা গেলেও, এটি রাজনৈতিক প্রতীক ও বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সংঘটিত হয়েছে কিনা—তা নিয়ে এখনো নানা আলোচনা চলছে। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে, এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না ঘটে, সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। শিল্পচর্চার স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষা করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top