সরকারি স্কুল শিক্ষকদের মধ্যে পদোন্নতি নিয়ে বিভেদ দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা। এ বিভেদ মূলত সময়মতো পদোন্নতি না পাওয়া, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সঠিক মূল্যায়নের অভাব এবং নীতিমালার অসামঞ্জস্য থেকে উদ্ভূত।
অনেকে অভিযোগ করেন যে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সিনিয়রিটির বদলে পছন্দনির্ভরতা বা অন্য কোনো বিষয় প্রাধান্য পাচ্ছে, যা শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা তৈরি করছে। অন্যদিকে, যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতির দাবিতে অনেকেই স্বচ্ছ নীতিমালার প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
এ বিভেদ দূর করতে স্বচ্ছ ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন, পদোন্নতির জন্য নির্ধারিত সময় বজায় রাখা, এবং সকল শিক্ষকের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। এতে শিক্ষকদের মধ্যে ঐক্য ও পেশাগত উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে।

লেখাটি আরও পরিমার্জিত ও পেশাদারভাবে পুনর্লিখিত হতে পারে। নিচে একটি প্রস্তাবিত সংস্করণ দেওয়া হলো:
সরকারি হাইস্কুলের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়েও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তারা একটি বেসরকারি টেলিভিশনের এক শিবির সংশ্লিষ্ট বুমধারীর মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ, মিছিল আয়োজন এবং উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন।
বিশেষভাবে, সালমী নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। সালমীর সঙ্গে ওই শিবির সংশ্লিষ্ট বুমধারীর ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্তে উঠে এসেছে, এই বুমধারী ব্যক্তি আন্তর্জাতিক শিক্ষা মাফিয়াচক্রের বাংলাদেশি প্রতিনিধি এবং একটি শিক্ষা বিষয়ক এনজিওর এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মতে, তিনি সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করে নিজের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন।
সালমীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে, এবং শিক্ষা অধিদপ্তর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। বিষয়টি শিক্ষা খাতে শৃঙ্খলা রক্ষায় নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
সোমবার ও মঙ্গলবার পরপর দুইদিন শিক্ষা অধিদপ্তরে দুই বিপরীতমুখী পক্ষের সঙ্গে সালমীকে দেখা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি গোপন বৈঠকে শিবিরপন্থী সাংবাদিক নামধারী কিছু ব্যক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং তাদের মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশ করাচ্ছেন।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পদোন্নতি নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, তবে সালমীর এসব কর্মকাণ্ডে তাদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া, ওমর ফারুক এবং স্বাধীনতা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি থেকে বহিষ্কৃত সিলেট অঞ্চলের এক শিক্ষকেরও গতকাল শিক্ষা অধিদপ্তরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
বিস্তারিত জানতে ভিডিওটি দেখুন।
পদোন্নতি নিয়ে স্কুল শিক্ষকদের বিভেদের মূল কারণ কী?
মূলত সিনিয়রিটি, যোগ্যতার মূল্যায়ন, এবং পদোন্নতির নীতিমালায় অসামঞ্জস্যের কারণে বিভেদ সৃষ্টি হয়। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকদের মধ্যে পদোন্নতির সঠিক প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ থাকে।
শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ কেন উঠছে?
অভিযোগ রয়েছে যে, কিছু শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষ শিবিরপন্থী ব্যক্তিদের সহযোগিতা নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য ও নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অধিদপ্তরের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করছেন।
শিক্ষা অধিদপ্তর এই সমস্যাগুলোর সমাধানে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?
অধিদপ্তর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা করছে এবং প্রমাণ সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
পদোন্নতি নিয়ে বিভেদের কারণে শিক্ষাব্যবস্থায় কী প্রভাব পড়ছে?
এই বিভেদ শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করছে এবং শিক্ষা খাতের কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এটি শিক্ষার মান উন্নয়নে বাধা হিসেবে কাজ করছে।
এই পরিস্থিতি কীভাবে সমাধান করা সম্ভব?
স্বচ্ছ নীতিমালা প্রণয়ন, যোগ্যতার সঠিক মূল্যায়ন, এবং বিভেদ নিরসনে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে কার্যকর আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
উপসংহার
উপসংহার হিসেবে বলা যায়, পদোন্নতি নিয়ে স্কুল শিক্ষকদের বিভেদ এবং শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ শিক্ষাক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ও প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ ধরনের সমস্যা সমাধানে স্বচ্ছ নীতিমালা, যোগ্যতার সঠিক মূল্যায়ন এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সমন্বয় অপরিহার্য। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভেদের অবসান এবং দক্ষ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা একান্ত প্রয়োজন, যা শিক্ষার মানোন্নয়ন ও জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।




