আলুর রসের সঙ্গে একটি ডিমের কুসুম ও এক চা চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। মাথার ত্বক থেকে চুলের আগা পর্যন্ত আলতোভাবে লাগিয়ে পাঁচ মিনিট হালকা মালিশ করুন। এরপর প্রায় ২০ মিনিট রেখে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শেষ ধাপে একটি মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
এই হেয়ার মাস্ক শুধু চুলকে নরম ও মসৃণ করতে নয়, নতুন চুল গজাতেও কার্যকর ভূমিকা রাখে।

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে আলুর রস অত্যন্ত কার্যকর একটি প্রাকৃতিক উপাদান। অনেকেই নিয়মিত এই ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করেন। শুধু ত্বকের যত্নেই নয়, চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানেও আলুর রস বিশেষভাবে উপকারী। এটি মাথার ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে এবং রুক্ষ চুলকে কোমল করে তোলে। পাশাপাশি মাথার ত্বকে সেবাম নিঃসরণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণেও আলুর রস কার্যকর ভূমিকা রাখে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন
আলু টুকরো করে ব্লেন্ড করে নিন এবং পরিষ্কার কাপড়ে ঢেলে রস ছেঁকে নিন। আঙুলের সাহায্যে মাথার ত্বক ও চুলে আলুর রস ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চাইলে এতে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
আলুর রসের সঙ্গে একটি ডিমের কুসুম এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে একটি পুষ্টিকর হেয়ার মাস্ক তৈরি করা যায়। শ্যাম্পু করার পর চুলে এই মিশ্রণটি লাগান। মাথার ত্বক থেকে চুলের আগা পর্যন্ত হালকা হাতে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্ক চুলকে নরম ও মসৃণ করার পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
আলুর রস যেমন চুলের ফলিকল মজবুত করে, তেমনি পেঁয়াজের রসও চুল ঝরা কমাতে কার্যকর। পাঁচ চামচ আলুর রসের সঙ্গে সমপরিমাণ পেঁয়াজের রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে দিন এবং হালকা হাতে মালিশ করুন। চাইলে এই মিশ্রণের সঙ্গে সামান্য নারকেল তেলও যোগ করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহার চুল পড়ার সমস্যা কমাতে সহায়তা করবে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
আলুর রস কি সত্যিই নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে?
হ্যাঁ। আলুর রসে থাকা ভিটামিন বি, সি এবং খনিজ উপাদান চুলের ফলিকল শক্ত করে এবং রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে।
কীভাবে আলুর রস প্রস্তুত করতে হবে?
আলু টুকরো করে ব্লেন্ড করুন এবং পরিষ্কার কাপড়ে ছেঁকে রস বের করে নিন। চাইলে পাতলা করতে কয়েক ফোঁটা পানি মেশানো যায়।
আলুর রস চুলে কতক্ষণ রাখতে হবে?
মাথার ত্বকে আলুর রস লাগিয়ে ১৫–২০ মিনিট রেখে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ২–৩ বার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
আলুর রসের সঙ্গে আর কী মেশালে ভালো ফল পাওয়া যায়?
ডিমের কুসুম, মধু বা নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে চুল আরও নরম, ঘন এবং শক্ত হয়। এছাড়া পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মিশিয়েও কার্যকর ফল পাওয়া যায়।
সংবেদনশীল স্ক্যাল্পে আলুর রস ব্যবহার করা কি নিরাপদ?
সাধারণত নিরাপদ, তবে কারও কারও ক্ষেত্রে হালকা জ্বালা হতে পারে। ব্যবহারের আগে স্কিন প্যাচ টেস্ট করা ভালো। অস্বস্তি হলে ব্যবহার বন্ধ করুন।
উপসংহার
নতুন চুল গজানো এবং চুলের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে আলুর রস একটি কার্যকর ও সহজলভ্য ঘরোয়া উপায়। নিয়মিত ব্যবহারে এটি মাথার ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখে, ফলিকল মজবুত করে এবং চুল ঝরা কমাতে সহায়তা করে। ডিম, মধু, নারকেল বা পেঁয়াজের রসের সঙ্গে আলুর রস ব্যবহার করলে এর উপকারিতা আরও বাড়ে। সঠিক পদ্ধতিতে নিয়মিত ব্যবহারই সুস্থ, ঘন ও শক্ত চুল পাওয়ার মূল চাবিকাঠি।




