ঢাবি উপাচার্যের সাথে জাইকার প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

ঢাবি উপাচার্যের সাথে জাইকার প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য জাইকার প্রতিনিধি দলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা), বাংলাদেশের কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের প্রধান উপদেষ্টা মিস সায়রি মুটোর নেতৃত্বে একটি তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল আজ, ১৫ জুলাই ২০২৫, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তরুণ শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ফিনটেক, পরিবেশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে জাইকার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় একটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য জাইকার প্রতিনিধি দলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নিতে জাইকা সহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

কারা এই সাক্ষাতে অংশ নেন?

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা), বাংলাদেশের কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের প্রধান উপদেষ্টা মিস সায়রি মুটোর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।

এই বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়?

বৈঠকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ফিনটেক, পরিবেশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তরুণ শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।

জাইকার প্রস্তাবের প্রতি উপাচার্যের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান জাইকার উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবের জন্য প্রতিনিধি দলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

ভবিষ্যতে জাইকা ও ঢাবির মধ্যে কী ধরনের সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে?

শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে জাইকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ ও জাপানের সম্পর্ক সম্পর্কে উপাচার্য কী মন্তব্য করেন?

উপাচার্য উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান এবং তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।

উপসংহার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে জাইকার প্রতিনিধিদলের এই সাক্ষাৎ ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি, যা ভবিষ্যতে শিক্ষা, গবেষণা এবং দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে দুপক্ষের পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে জাপানের অব্যাহত সহায়তা এ দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top